কাজিরবাজার ডেস্ক :
একাটি মানহানির মামলায় কাদের সিদ্দিকীর (বীরোত্তম) বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকা সিএমএম আদালত।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে রাজাকার বলার ওই মামলায় গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আলী মাসুদ এই গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
মামলাটিতে জামিন নেওয়ার পর ১৪টি ধার্য তারিখে তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত এই পরোয়ানা জারি করেন।
এদিকে মামলার বাদী ন্যাশনাল এফএফ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদারও আদালতে হাজির না হওয়ায় তাকেও হাজির হওয়ার জন্য কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্র“য়ারি বাদী এ মামলাটি দায়ের করেন। ওইদিন আদালত কাদের সিদ্দিকীকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। এরপর ওই বছর ১৮ মার্চ তিনি আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে জামিন দেয়ার পর আর তিনি আদালতে হাজির হননি।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৯ ফেব্র“য়ারি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘মহাজোট সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজাকার। সরকারের মধ্যে রাজাকার রেখে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব নয়। ৭১ সালে মখা আলমগীর ময়মনসিংহের এডিসি ছিলেন। রাজাকারদের পক্ষে কাজ করেছেন তিনি, আমি সাক্ষী।’
মামলায় বলা হয়, মহীউদ্দীন খান আলমগীর বা তার পরিবারের কেউই রাজাকার নন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর পরিবারের সদস্যগণ সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করলেও মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি পদক্ষেপে তাদের অংশীদারিত্ব জাতির কাছে প্রমাণিত।
আসামীর এ মিথ্যা বক্তব্যে বাদী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের মানহানি এবং মহীউদ্দীন খান আলমগীরের প্রায় ২ কোটি টাকার মানহানী হয়েছে।