জগন্নাথপুরে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ এখনো শেষ হয়নি

3

মো. শাহজাহান মিয়া, জগন্নাথপুর

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে হাওরের বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ এখনো শেষ হয়নি। এতে কিছুটা চিন্তিত হলেও আতঙ্কিত নন কেউ। অন্যদিকে-বৃষ্টির জন্য হাহাকার চলছে। কৃষকদের মতে বর্তমানে জমির ধান গর্ভবর্তী হয়ে আটকে আছে। শুধু বৃষ্টির ছোঁয়া পেলেই বেরিয়ে যাবে ধানের থোড়।
জানাগেছে, এবার জগন্নাথপুর উপজেলার সর্ববৃহত নলুয়ার হাওর সহ ছোট-বড় সব হাওরে উৎপাদিত বোরো ফসল রক্ষায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। নলুয়ার হাওর পোল্ডার-১, নলুয়ার হাওর পোল্ডার-২, সুরিয়া বিবিয়ানা ও কুশিয়ারা নদীর ডানদিক পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার এরিয়া নিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং মেরামত কাজ হয়। বাংলাদেশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে মোট ৪০টি পিআইসি প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মাণাধীন কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। গত ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু হয়। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারির মধ্যে। এর মধ্যে বর্ধিত সময় বাড়িয়েও এখন পর্যন্ত কাজ শেষ হয়নি।
১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে নলুয়ার হাওরের পশ্চিমপ্রান্ত ভুরাখালি ও বেতাউকা গ্রাম এলাকায় অবস্থিত ২ থেকে ১০নং পিআইসি অংশের বাঁধের মাটিকাটার কাজ শেষ হয়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্ট স্থানীয়রা জানান। ৬ ও ৭ নং প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা সাবেক ইউপি সদস্য রনধীর কান্তি দাস রান্টু বলেন, আমাদের কাজ শেষ এখন দুর্বাঘাস লাগানো হচ্ছে। ৮ ও ৯নং প্রকল্পের ইউপি সদস্য লিলু মিয়া ও রুবেল আহমদ জানান, আমাদের কাজও শেষ হয়ে গেছে। এছাড়া উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের বড়ফেছি মোকামের ঢালা নামক প্রকল্পের কাজ অনেক আগে শেষ হয়েছে বলে স্থানীয় ইউপি সদস্য শওকত আহমদ জানান। তবে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে অনেকে বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ ভাগ কাজ হয়েছে। বাকি কাজ রয়ে গেছে। তারা আরো জানান, আমরা বাঁধ নিয়ে ভাবছি না। শুধু বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছি। বৃষ্টির অভাবে গর্ভবর্তী ধান লালচে হয়ে ক্ষতি হচ্ছে। এখন বৃষ্টির ছোঁয়া পেলে ধানে থোড় বের হয়ে যাবে। জগন্নাথপুর উপজেলা পাউবো প্রকৌশলী সবুজ কুমার শীল জানান, বাঁধের কাজ শতভাগ শেষ হয়ে গেছে। বাঁধ নিয়ে আর শঙ্কার কিছু নেই। জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ জানান, জগন্নাথপুরে এবার ২০ হাজার ৪২৩ হেক্টর বোরো জমি আবাদ হয়েছে। প্রকৃতি অনকুলে থাকলে ১ লাখ ২৮ হাজার মেট্রিকটন ধান কৃষক ভাইদের গোলায় উঠবে।