কমলগঞ্জে হলুদ রঙের ফুলকপি চাষে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা

3

পিন্টু দেবনাথ, কমলগঞ্জ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদীর তীরবর্তী দক্ষিণ কুমড়াকাপন এলাকায় হলুদ রঙের ফুলকপি চাষে কৃষকরা লাভের মুখ দেখছেন। পুষ্টিকর ও ক্যান্সার প্রতিরোধে হলুদ রং এই ফুলকপি চাষ অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বাজারে যে সমস্ত সাদা রঙের ফুলকপি পাওয়া যায়, তার চেয়ে দামে প্রায় দিগুণ হলুদ রঙের ফুলকপি। কম খরচে অধিক লাভজনক সবজির দৃষ্টান্ত হচ্ছে ফুলকপি। আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করে আগাম চাষবাদ হলে এই ফুলকপির বাম্পার ফলন হবে এবং কৃষকরা সাবলম্বী হবেন।
কমলগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কুমড়াকাপন এলাকার হীড বাংলাদেশ এর সদস্য ফাতেমা বেগম, নাজিরা বেগম ও রেহেনা বেগম ৩৫ শতাংশ জমিতে হলুদ কালারের ফুলকপি চাষাবাদা করেন। এতে মোট খরচ হয়েছে প্রায় ২৪-২৫ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। আগাম চাষাবাদ হলে লাভের মুখ আরও বেশি হত। বর্তমানে বাজারে শীতকালীন সবজির দাম কম থাকায় চাহিদা তুলনায় কম লাভবান হবেন।
হীড বাংলাদেশ এর কৃষি কর্মকর্তা সোহেল সিকদার বলেন, কৃষি ইউনিটের কৃষিখাতে হীড বাংলাদেশ এর বাস্তবায়নে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় রঙিন ফুলকপি চাষে লাভবান দক্ষিণ কমড়াকাপন গ্রামের কৃষক। রঙিন ফুলকপির চারা, জৈব সার, বালাই নাশক, হলুদ কার্ড, ফেরোমন ফাঁদ, প্রশিক্ষণ, নিয়মিত ক্ষেত পরির্দশন ও পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, রঙিন ফুলকপি দেখতে যেমন আর্কষনীয় তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে রয়েছে প্রচুর আন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, ক্যান্সার প্রতিরোধী অ্যানথোসায়ানিন রয়েছে। আগামীর কৃষিতে রঙিন ফুলকপি নতুন মাত্রা যোগ করবে।