বড়লেখা সংবাদদাতা
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পরকিয়ার জেরে স্ত্রী ও ছোট ভাই মিলে উজ্জল বিশ্বাস (৩০) নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। রবিবার রাত দুইটা থেকে তিনটার মধ্যে উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।
খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী দিপনা রাণী বিশ্বাস (১৯) ও ছোট ভাই জন্টু বিশ্বাস (২৫)-কে পুলিশ আটক করেছে। উজ্জল তালিমপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের সুবোধ বিশ্বাসের ছেলে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) কামরুল হাসান ও বড়লেখা থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উজ্জল বিশ্বাসের স্ত্রী দিপনা রাণী বিশ্বাসের সঙ্গে তার আপন ছোট ভাই জন্টু বিশ্বাসের পরকিয়া চলছিল। বিষয়টি জেনে ফেলেন দিপনার স্বামী উজ্জল। এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়। একপর্যায়ে স্বামীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করেন স্ত্রী দিপনা ও ছোট ভাই জন্টু। পরিকল্পনা অনুযায়ী রবিবার রাত দুইটা থেকে তিনটার যেকোনো এক সময় দিপনা ও জন্টু ঘুমন্ত অবস্থায় উজ্জল বিশ্বাসের গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করেন। পরে লাশ বাড়ি থেকে নিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দেন। ভোরের দিকে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে রাস্তার পাশে উজ্জলের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্বজনরা। সোমবার দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্ত্রী দিপনা রাণী বিশ্বাস ও ছোটভাই জন্টু বিশ্বাসকে আটক করে।
বড়লেখা থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় সন্দেহ হওয়ায় নিহতের স্ত্রী দিপনা ও ছোট ভাই জন্টু বিশ্বাসকে আটক করা হয়েছে। নিহত উজ্জলের বাবা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) কামরুল হাসান বলেন, পুলিশ নিহতের স্ত্রী দিপনা রাণী বিশ্বাস ও ছোট ভাই জন্টু বিশ্বাসকে আটক করেছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেছে।