৮ দফা দাবিতে রিকশা, ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন সিলেট বিআরটিএ উপ-পরিচালক (রাজস্ব)। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় আম্বরখানাস্থ সংগঠনের কার্যালয়ের সামনে জমায়েত শেষে সহস্রাধিক শ্রমিকের মিছিল সহকারে বিআরটিএ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
রিকশা, ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি প্রণব জ্যোতি পাল এর সভাপতিত্বে ও সহ সভাপতি মনজূর আহমদ এর সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহানগর শাখার প্রধান উপদেষ্টা আবু জাফর। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি শহীদ আহমদ, ইয়াছিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন, ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দের মধ্যে শেখ রফিক, ইউনুস আলী, সৈকত আহমদ, মিজান মিয়া, আজিবর, সিমান্ত রায়, আবুল খায়ের, মিন্টু যাদব, শফিকুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, বিলাল আহমদ, আহমদ প্রমূখ।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, সারা দেশে প্রায় ৫০ লাখ চালক পরিবার এইসব ব্যাটারি চালিত থ্রি হুইলার ও জাতীয় যানবাহনের উপর প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল। এইসব যানবাহন তৈরি, মেরামত, খুচরা যন্ত্রাংশ নির্মাণ, বিক্রি, চার্জিং সহ নানা ধরনের কাজে অসংখ্য মানুষের জীবন ও জীবিকা নির্ভরশীল। দেশের সকল জেলা ও বিভাগে নগর পরিবহণ নেই ফলে কোটি কোটি মানুষ ব্যাটারি চালিত যানবাহন ব্যবহার করে থাকে। এই খাত যেমন বিপুল কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে তেমনি দেশের অর্থনীতিতেও এক গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। এইসব বাহন বিদ্যুতে চলে বলে পরিবেশ দূষণ কম করে। বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে এদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ চুরি এবং অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের অভিযোগ করা হয়। এইসব বাহন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, চালকেরা বিদ্যুৎ চুরি করে না বরং বর্ধিত দামে (প্রায় ২৫ টাকা ইউনিট) বিদ্যুৎ কিনে থাকে। তাই কর্মসংস্থান, জীবিকা, যাতায়াত এবং দেশের অর্থনীতির বিকাশের কথা বিবেচনা করলে এই খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে যে রাজস্ব ঘাটতি চলছে সেক্ষেত্রে দ্রæত নীতিমালা চুড়ান্ত করে ৫০ লাখ ব্যাটারিচালিত বাহনকে নিবন্ধন ও চালকদের লাইসেন্স এর আওতায় আনলে রাজস্বে কয়েক হাজার কেটি টাকার যোগান নিশ্চিত হবে। একইসাথে দেশীয় গাড়ি শিল্পে একটি বিপ্লব, কর্মসংস্থান ও শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। যেখানে শুধু প্রয়োজন হবে দুর্নীতিমুক্ত সঠিক ব্যবস্থাপনা। ছাত্র শ্রমিক জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশে এখন এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়েছে। এই নতুন পরিস্থিতিতে এই খাতের উন্নতি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে তা আমরা প্রত্যাশা করি।