প্রত্যাহার হচ্ছে গায়েবী মামলা

2

 

কাজির বাজার ডেস্ক

ফেব্রæয়ারির মধ্যে আড়াই হাজারের বেশি গায়েবি ও রাজনৈতিক হয়রানিমূলক হামলা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। পাশাপাশি সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের অধীনে করা সব মামলাও প্রত্যাহার করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, দেশের ২৫টি জেলায় আড়াই হাজার রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বা গায়েবি মামলা চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব মামলায় লাখ লাখ মানুষ আসামি। আগামী ফেব্রæয়ারির মধ্যে এসব মামলা প্রত্যাহার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, গায়েবি মামলা চিহ্নিত করতে আমরা চারটি ভাগে ভাগ করেছি। মামলাগুলো পুলিশ করেছি কিনা সেটা আমলে নেয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, এসব মামলার বেশিরভাগের প্রবণতা ছিল- বিস্ফোরক আইনে মামলা, অস্ত্র আইনে মামলা, পুলিশের ওপর হামলার মামলা। তৃতীয় প্রবণতা হলো- এসব মামলায় অনেক আসামি থাকে অর্থাৎ অজ্ঞাতনামা আসামি থাকে। সবশেষ যে প্রবণতাকে আমলে নেয়া হয়েছে, বিরোধী দলীদের কোনো বড় সমাবেশের আগে-পরে এবং গত তিন ভুয়া নির্বাচনের আগে-পরে করা মামলা। এসব প্রবণতাকে আমলে নিয়ে আমরা ২৫০০ মামলা চিহ্নিত করেছি। আশা করছি ফেব্রæয়ারির মধ্যে এসব মামলা প্রত্যাহার হয়ে যাবে।
সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের অধীনে করা সব মামলাও প্রত্যাহার করা হবে বলে জানান তিনি। এ সময় উপদেষ্টা বলেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে এসব মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে সাইবার সিকিউরিটি আইন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করছে।
উচ্চ আদালতে এর আগে রাজনৈতিক বিবেচনায় বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এখন থেকে বিচারক নিয়োগ হবে দক্ষতার ভিত্তিতে এবং দল নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে। বিচারক নিয়োগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ-২০২৫ গেজেট নোটিফিকেশন হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. আসিফ নজরুল বলেন প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকার পরেও ভারত হাসিনাকে ফেরত না দিলে ওই চুক্তির লঙ্ঘন হবে। তিনি বলেন আমরা প্রত্যর্পণের জন্য চিঠি লিখেছি। এরপর ভারত যদি হাসিনাকে প্রত্যর্পণ না করে, তবে এটা বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে প্রত্যর্পণ চুক্তি সেটার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হবে। সেই ব্যাপারে আমরা বিশ্ব সমাজে পদক্ষেপ নেব; সেটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঠিক করা হবে।
হাসিনার বিরুদ্ধে এর মধ্যে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, আমাদের যা যা করণীয় আছে আমরা করে যাচ্ছি। আরও কিছু করণীয় থাকলে ক্ষেত্র বিশেষে চিন্তা করে আমরা করব।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাসিনার বিচার শুরু হয়েছে। প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।