আতিকুর রহমান, ছাতক
সিলেটে-সুনামগঞ্জ সড়কে গ্যাস সিলিন্ডার বহনকারী একটি ট্রাক উল্টে দাড়িয়ে থাকা সিএনজি অটো রিক্সাকে চাপা দিলে শ্রমিক শিহাব উদ্দিন (২৬) নামের এক যুবককের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
সে ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের বুড়াইরগাঁও হায়াতপুর গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে। স্থানীয় লোকজন প্রায় ৪৫ মিনিট চেষ্টার পর তাকে জীবিত উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাত দেড়টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সে পেশায় একজন সিএনজি অটো রিকশা চালক ছিলো বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটগামী এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বহনকারী একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৮-৪০৩৫) গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে প্রবেশের আগে রাস্তার মধ্যখানে রোড ডিভাইডার এর সাথে ধাক্কা লেগে সড়কের পাশে দাড়িয়ে থাকা সিএনজি অটো রিকশার উপর উল্টে পড়ে যায়। এসময় সিএনজি অটো-রিকশার ভেতরে থাকা তিন চালকের মধ্যে দুইজন বেরিয়ে আসলেও শিহাব উদ্দিন আর বের হতে পারে নি। চাঁপা পড়ে থাকলে স্থানীয় লোকজন উল্টে থাকা ট্রাক থেকে গ্যাস সিলিন্ডার নামিয়ে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। প্রায় এক ঘন্টা পর রাত পৌনে ১টার দিকে তাকে উদ্ধার করে দ্রæত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুর খবরে ছাতক গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এদিকে, দূর্ঘটনার পর উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ছাতক ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, জয়কলস হাইওয়ে পুলিশ, ছাতক থানা ও জাউয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যানজট নিরসন করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। রাত ৪ঘটিকায় দূর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও সিএনজি অটো রিকশা উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় নেয়া হয়। দূর্ঘটনার পর পর ট্রাক চালক পালিয়ে গেছে।
এলাকাবাসির অভিযোগ, গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে সড়কের পাশের রেলওয়ের পরিত্যক্ত পাকা ঘর উচ্ছেদ না করায় এবং সড়কের উভয় পাশে রোড ডিভাইডারে কোন চিহৃ না থাকায় এবং সড়ক সরু আর গোল চত্বর বড় হওয়ায় প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটছে। সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট এলাকাবাসীর দাবি, দুর্ঘটনা এড়াতে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
