ছাতকে খালের বাঁধ অপসারণে প্রশাসনের নির্দেশ

1

ছাতক প্রতিনিধি

ছাতকে সরকারি মরাগাঙ্গ এর খালে বাঁধ নির্মাণ করে মাছের খামার অন্তর্ভুক্তিসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছিল ১৩ নভেম্বরে। বিষয়টি দেখার জন্য সহকারী কমিশনার (ভ‚মির) কাছে দিয়েছিলেন ইউএনও। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার উভয় পক্ষকে ডাকা হয় সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) কার্যালয়ে। ১৫দিনের মধ্যে বাঁধটি অপসারণের জন্য অভিযুক্তদের দেওয়া হয় নির্দেশ।
উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের ব্রাক্ষণঝুলিয়া গ্রামবাসীর পক্ষে গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে খলিলুর রহমান অভিযোগটি দায়ের করেন একই গ্রামের মর্তুজ আলী ও তার পুত্র নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের ব্রাক্ষণঝুলিয়া গ্রামের মৃত মনোহর আলী ওরফে মতিউর রহমানের ছেলে মর্তুজ আলী ও তার ছেলে নজরুল ইসলাম গ্রামের উত্তরে মরা গাঙ্গের সরকারি খালে বাঁধ নির্মাণ করে মাছের খামার অন্তর্ভুক্তিসহ বিভিন্ন সরকারি খাস ভ‚মি জবর-দখল করে আসছে। আর তাদেরকে ইন্দন দিচ্ছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক গয়াছ আহমদ। তারা সরকারি ভ‚মি থেকে দিন-দুপুরে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করে। ওই মাটি কাটার মিশিন বহন করে স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের চলাচলের রাস্তায় ব্যাপক ক্ষতি সাধিত করেছে। যা মেরামত করে দেওয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয়নি।
কালবন মৌজার জেএল নং-২০৯ এর ১নং খতিয়ানের ৪৬, ৪৭ ও ৫১ দাগের ভ‚মি জবর-দখল করে ৫/৬ ফুট গভীর করে মাটি কেটে মাছের খামার করেছে ওই ভ‚মি খেকোরা। এ মৌজার ৬০ নং-দাগের ১নং খতিয়ানের খাল দিয়ে হাওরের পানি নিস্কাশন ও নৌকা যাতায়াত বন্ধ করে তারা মাছের খামারে রুপান্তরিত করেছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে গত বছরের ১ জুন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করা হলে আজও কোন সুরাহা হয়নি। খালটি দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার পূর্বক কৃষকদের বোরো ফসল উৎপাদনে ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান গ্রামবাসী।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) আবু নাছের, সরকারি খালের বাঁধ অপসারণের নির্দেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।