সুনামগঞ্জে আইফোনের জন্য মা-ছেলেকে হত্যা করে সপ্তম শ্রেণির দুই ছাত্র

2

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা

সুনামগঞ্জে বসত ঘরে ঢুকে মা ছেলেকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় দুই দিনের মাথায় রহস্য উন্মোচন হলো। আইফোনের লোভে মা ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে দাবি পুলিশের। এই ঘটনায় এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান পিপিএম।
তিনি বলেন, হত্যাকাÐে জড়িত একজনকে ভোরে ঢাকার সাভার থেকে আটক করা হয়। আটককৃত কিশোর হত্যাকাÐে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, আইফোন চুরির জন্য বন্ধুকে নিয়ে হত্যাকাÐের ঘটনা ঘটায়। আটক হত্যাকারী অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়াতে তার নাম ঠিকানা প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তিনি আরো জানান, সপ্তাহ খানেক আগে ওই কিশোর ও তার এক বন্ধু মিলে নিহত মিনহাজের আইফোন ১১ মডেলের একটি মোবাইল চুরির পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকালে মিনহাজের ঘরে প্রবেশ করে তারা। মোবাইল চুরির চেষ্টাকালে মিনহাজ ঘুম থেকে জেগে উঠে ঘটনা কি ঘটতে যাচ্ছে বুঝতে পাওয়ায় তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে পাশে থাকা বটি দা দিয়ে মিনহাজের শরীরে দুটি কোপ দেওয়া হয়। এসময় মিনহাজ আঘাত পেয়ে চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। চিৎকার শুনে মিনহাজের মা ফরিদা বেগম এগিয়ে আসলে তাকে আরেকটি বটি দিয়ে আঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলেই মা ছেলে নিহত হোন। পরে তারা ঘরে থাকা টাকা এবং স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে একজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অন্য জনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গত মঙ্গলবার জেলা সদরের এসপি বাংলো সংলগ্ন হাসননগর এলাকার একটি ঘর থেকে ফরিদা বেগম (৪৫) ও তার ছেলে মিনহাজ উদ্দিনের লাশ দু’টি উদ্ধার করা হয়। নিহতদের গ্রামের বাড়ি জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায়। ওইদিন সকাল ৮ টার দিকে বাসায় কাজের মহিলা এসে ঘর খোলা ও মা-ছেলের লাশ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে স্বজনদের খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করে।