২০৪৩ সালের মধ্যে গোটা ইউরোপ দখল করবে মুসলিমরা

1

কাজির বাজার ডেস্ক

বলকানের নস্ত্রাদামুস খ্যাত বুলগেরিয়ার রহস্য নারী বাবা ভাঙ্গা মারা গেছেন ১৯৯৬ সালে। মাত্র ১২ বছর বয়সে দৃষ্টিশক্তি হারান তিনি। কিন্তু অন্ধ হয়েও আধ্যাত্মিক এই নারীর অনেক ভবিষ্যদ্বাণীই বাস্তাবায়ন হয়েছে যাচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। দাবি করা হয়Ñ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন, কমিউনিস্ট জমানার অবসান, যুক্তরাষ্ট্রের টুইনটাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলা, প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু, চেরনোবিল পারমাণবিক বিপর্যয় এবং ব্রেক্সিটের মতো আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন বাবা ভাঙ্গা। সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আবহেই প্রকাশ্যে এসেছে বাবা ভাঙ্গার একগুচ্ছ ভবিষ্যদ্বাণী। তিনি বলেছেন, ২০২৫ সাল থেকেই পৃথিবীর ধ্বংস শুরু হবে। তার ১৮ বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০৪৩ সালে গোটা ইউরোপ জয় করবে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো। শুধু তাই নয়, আগামী বছর থেকে পৃথিবীতে শুরু হবে এলিয়েনদের আনাগোনা। মানবসমাজের কাছেও নিজেদের উপস্থিতি জানান দেবে তারা। তার পরে ২০৭৬ সালে গোটা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত হবে কমিউনিস্ট শাসন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন, কমিউনিস্ট শাসনের অবসান, ১৯৮৬ সালে চেরনোবিলে পারমাণবিক বিপর্যয়, সোভিয়েত প্রধান জোসেফ স্ট্যালিনের মৃত্যু থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলা, ২০০৪ সালের ভয়াবহ সুনামিÑ নিজের জীবদ্দশায় এই সব কিছুই বলে গিয়েছিলেন বাবা ভাঙ্গা। এমনকি নিজের মৃত্যুর দিনও আগে থেকে জানিয়ে রেখেছিলেন তিনি। ঠিক সেই দিনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন
ভাঞ্জেলিয়া পন্দেভা গুশতেরোভা বাবা ভাঙ্গা নামে পরিচিত। দৃষ্টিহীন বাবা ভাঙ্গা ১৯৯৬ সালে ৮৫ বছর বয়সে মারা যান। ১২ বছর বয়সে দৃষ্টিশক্তি চলে যাওয়ার পরই ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ক্ষমতা পান বলে দাবি ছিল বাবা ভাঙ্গার।
এদিকে ফরাসি জ্যেতিষী নস্ত্রাদামুসও একই ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন। তার মতে, ২০২৫ সালে ইউরোপজুড়ে বিরাট যুদ্ধ এবং সংঘাত সৃষ্টি হবে।
বাবা ভাঙ্গা বা নস্ত্রাদামুস-দুজনের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। আদৌ তাদের কথায় বিশ্বাস করা যায় কিনা সেই নিয়ে চর্চাও রয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে এটুকু বলা যায়, ২০২৫ সালেও চলবে রাশিয়া-ইউক্রেন বা ইজরায়েল-হামাসের মতো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। তবে সেই যুদ্ধ শেষে কী পরিণতি হবে গোটা বিশ্বের, উত্তর রয়েছে সময়ের গর্ভেই।