বাহুবলে ডাকাতি ও হত্যা তিন জনের মৃত্যুদন্ড

2

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা
হবিগঞ্জের বাহুবলে ডাকাতি করতে গিয়ে মা-মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৩ ডাকাতের মৃত্যুদন্ডের (ফাঁসি) আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পরপরই দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিলেট জেলার শাহপরান থানার চৌকিদীঘি গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে আমীর হোসেন, বাহুবল উপজেলার হাজীমাদাম গ্রামের টেনু মিয়ার ছেলে আব্দুল হান্নান ও একই উপজেলার ডুবাঐ এলাকার মহিব উল্লাহর ছেলে মনির মিয়া।
জানা যায়- ২০২১ সালের ১৮ মার্চ বুধবার দিবাগত রাতে বাহুবল উপজেলার দ্বিগাম্বর বাজারের কাছে একটি ভাড়া বাসার তৃতীয় তলায় খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন কাচামাল ব্যবসায়ী সনজিত দাসের স্ত্রী অঞ্জলি দাস (৩০) ও তার মেয়ে পূজা রানী দাস (৮)। মধ্যরাতে একদল ডাকাত ডাকাতির উদ্দেশ্যে তাদের ঘরে প্রবেশ করে। এসময় ডাকাতদের চিনে ফেলায় মা মেয়েকে নির্মমভাবে গলা কেটে হত্যা করে স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। সকালে নিজ ঘরে তাদের গলাকাটা লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ লাশগুলো উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনার পর অঞ্জলি দাসের স্বামী সনজিত বাদী হয়ে বাহুবল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দীর্ঘ তদন্তের পর বাহুবল থানার তৎকালীন ইন্সপেক্টর তদন্ত প্রজিৎ কুমার দাস ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট উল্লেখিত ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। মামলায় ২০ স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ৩ জনের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন বিচারক।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট হাবিবুর রহমান খান জানান- আদালতের রায়ে ন্যায় বিচার পেয়েছে সনজিত দাসের পরিবার। তিনি আরো বলেন- আমরা চাই দ্রæত যেন এ রায় কার্যকর করা হয়। আর এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের কথা জানান আসামী পক্ষের আইনজীবিসহ তাদের স্বজনরা।