সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলাধীন পশ্চিম ধরাধরপুর জামে মসজিদ ওয়াকফ এস্টেট পরিচালনা কমিটির এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে পশ্চিম ধরাধরপুর মরহুম হাজী মোতাহির আলীর বাড়িতে পশ্চিম ধরাধরপুর জামে মসজিদ ওয়াকফ এস্টেট পরিচালনা কমিটির মোতওয়াল্লী আহমদ হোসেন রেজার সভাপতিত্বে ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য কামাল উদ্দিন রাসেল এর পরিচালনায় এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতে মসজিদ সংক্রান্ত সার্বিক বিষয় নিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা কামাল।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন পশ্চিম ধরাধরপুর জামে মসজিদটি শতবর্ষের পুরনো একটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ। এই মসজিদ নিয়ে এলাকার একটি প্রভাবশালী পরিবার পশ্চিম ধরাধরপুর পঞ্চায়েতের মানুষের সাথে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। মসজিদটি দীর্ঘদিন যাবত এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সর্বসম্মতিতে পরিচালিত হয়ে আসছে। কিন্তু ২০১০ সাল থেকে জনৈক সৈয়দ মাহবুব ই জামিল এই ঐতিহ্যবাহী মসজিদ নিয়ে এলাকার মানুষের সাথে বিরুদ্ধে জড়িয়ে মসজিদের মুসল্লীদেরকে হয়রানি করে যাচ্ছেন। সৈয়দ মাহবুব ই জামিল একসময়ে সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন। সৈয়দ মাহবুব ই জামিল বিতর্কিত জনতার মঞ্চের অন্যতম রূপকার থাকায় বিগত বিএনপি সরকারের রোষানলে পড়ে দেশ থেকে পালিয়ে কানাডায় যাইয়া রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। গত আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এলে সৈয়দ মাহবুব ই জামিল দেশে ফিরে এসে সরকারের কাছে চাকরি পুনর্বহালের আবেদন করলে সরকার তাকে চাকরি ফিরিয়ে দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করে। এরপর থেকে সৈয়দ মাহবুব ই জামিল বেপরোয়া হয়ে উঠে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পশ্চিম ধরাধরপুর জামে মসজিদকে তাদের পারিবারিক সম্পত্তি দাবি করে এলাকায় প্রচার প্রচারণা চালালে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা জামিলের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং এই বিষয়ে ওয়াকফ প্রশাসক ঢাকা বরাবরে একাধিক আবেদন করে জামিলে হাত থেকে মসজিদ কে মুক্ত করতে ওয়াকফ প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করে।
মসজিদ টি পশ্চিম ধরাধরপুর জামে মসজিদ নামে ওয়াকফ এস্টেটে তালিকাভুক্তি জন্য পশ্চিম ধরাধরপুর পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য কালাম উদ্দিন রাসেল গত ৩১ জুলাই ২০২৩ ইং ওয়াকফ প্রশাসক বরাবরের আবেদন করলে ওয়াকফ প্রশাসক জেলা প্রশাসক সিলেট ও ওয়াকফ হিসাব নিরীক্ষ সিলেট কে এই বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ করলে জেলাপ্রশাসক সিলেট বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দক্ষিণ সুরমা কে সরজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বললে ওয়াকফ হিসাব নিরীক্ষক সিলেট সুনামগঞ্জ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দক্ষিণ সুরমা উভয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে পশ্চিম ধরাধরপুর জমে মসজিদের পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন জেলাপ্রশাসক সিলেট বরাবরে দাখিল করেন। জেলাপ্রশাসক উক্ত প্রতিবেদন গুলো পর্যালোচনা করে পশ্চিম ধরাধরপুর জমে মসজিদের পক্ষে প্রতিবেদন দিয়ে ওয়াকফ প্রশাসক বরাবরে গত ১০ জুন ২০২৪ ইং প্রতিবেদন দাখিল করলে ওয়াকফ প্রশাসক পশ্চিম ধরাধরপুর জামে মসজিদের পক্ষে সকল তদন্ত প্রতিবেদন থাকার পরেও গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং অবৈধ ক্ষমতাবলে বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে সৈয়দ মাহবুব ই জামিল কে হাজী সৈয়দ তবারক আলী গং ওয়াকফ এস্টেট এর দুই বছরের জন্য অফিসিয়াল মতোয়াল্লী নিয়োগ করলে এই সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে মারাত্মক উত্তেজনা দেখা দেয় বলে বক্তারা বলেন, ওয়াকফ প্রশাসক এমন জঘন্য হঠকারী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রতিবেদনের আলোকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানান অন্যথায় ওয়াকফ প্রশাসকের এমন অবৈধ সিদ্ধান্তের কারণে যদি এলাকায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তাহলে ওয়াকফ প্রশাসক এর সকল দায়ভার বহন করতে হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা কমিটির সদস্য আজিজুর রহমান, হবিব উল্লাহ, নিজাম উদ্দিন, সরওয়ার আলম দুলন মিয়া, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সহকারী মোতওয়াল্লী হোসাইন আহমদ হোসেন আলী, ফজলে এলাহী ফজল, কুতুব উদ্দিন, পর্তুগাল প্রবাসী আতিকুর রহমান শিলু, মসজিদ পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালিক, কোষাধ্যক্ষ মুহিবুর রহমান মুহিন, সহকারী কোষাধ্যক্ষ রুহুল আমিন, পাঠাগার সম্পাদক মাওলানা ফখরুল ইসলাম, সহ পাঠাগার সম্পাদক আব্দুল আহাদ, সহ শিক্ষা সম্পাদক আব্দুল মুকিত, সদস্য জাহাঙ্গীর আলম চিকন মিয়া, আব্দুল জব্বার, তাজ উদ্দিন তাজন মিয়া, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন জিতু মিয়া, শাহাব উদ্দিন, বাচ্চু মিয়া, জামাল উদ্দিন, রায়হান আহমদ কয়েছ, নাসির উদ্দিন মেম্বার, আক্তার হোসেন, মৌর মিয়া, ফখরুল ইসলাম, শাকিল আহমদ, শামসুর রহমান সমছু।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সৌরভ আহমদ টিপু, গুলজার হোসেন, সুমন মিয়া, সুবেল মিয়া, রুবেল আহমদ, আব্দুর রহমান, নয়ন আহমদ জায়েদ, শিপু আহমদ, ইফতেখার হোসেন, রাফাত সামিন, আব্দুল আলী সাকিব, আব্দুল হাই সজীব, আব্দুল কাইয়ুম সাঈদ, ইমতিয়াজ হোসেন নাফি, রুবেল আহমদ জয়, জাকির আহমদ, মুহিবুর রহমান, জনি মিয়া, শাহাদাত হোসেন নাঈম, নাহিদ মিয়া, আরিয়ান দিহান, রাফিত রাসকান, সাইফুর রহমান, সায়মন আহমদ, মারুফ আহমদ, তানজিদ হাসান, রিপন আহমদ, শেখ জামিল, আজিজুর রহমান, সুজন আহমদ, মিনার হোসেন, আব্দুল মোমিন গেদা, আব্দুল মিয়া, মুরাদ মিয়া, জাহিদ মিয়া, ইমাদ আহমদ, রাবেল আহমদ, মাসুম আহমদ, সানোয়ার আহমদ মান্না, আল আমিন, সাব্বির হাসান সামি, মোহাম্মদ মহি উদ্দিন রুহান, রোকন উদ্দিন আরিয়ান, আজহার উদ্দিন জিসান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি