শেখ হাসিনাসহ সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরো তিন অভিযোগ

6

কাজির বাজার ডেস্ক

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে শেখ হাসিনাসহ সুনির্দিষ্ট ব্যাক্তিদের নামোল্লেখ করে আরো তিনটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এম এইচ তামিম এ কথা জানন।
অভিযোগ এক-এ বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৪ টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডা রোডের মাথায় গুলশান কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রায়হান পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। নিহতের বাবা মোহাম্মদ মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বরাবর অভিযোগটি আনেন। অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৭৪ জন আসামি করা হয়।
অভিযোগ দুই-এ বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই মহাখালী ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে মোহাম্মদ শাজাহান নামে এক ব্যক্তি পুলিশের গুলিতে মারাত্মক আহত হন। ভিকটিম ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া থানার বাসিন্দা। ২৪ জুলাই তার মৃত্য হয়।
শেখ হাসিনাসহ ৩৯ জনকে আসামি করে মাজেদা খাতুন এ অভিযোগটি আনেন। ঘটনার বিবরণে আরো বলা হয়-লাশ দাফন করার সময় ধোবাউড়ার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ জানাজা করতে বাধা দেয় অবশেষে জানাজা ছাড়াই শাজাহানের লাশ দাফন করা হয়। এ ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে গত ২৭ জুলাই রাজধানীর বনানী থানায় শাহজাহানের ঘটনা নিয়ে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় বিএনপি এবং জামাতের ৫ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
অভিযোগ তিন-এ বলা হয়েছে, গত ৫ আগষ্ট বিকাল সাড়ে ৪ টায় রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানাধীন ব্র্যাক ব্যাংকের সামনে হারুন অর রশীদ গুলিবিদ্ধ হন। ভিকটিমের বোন অভিযোগকারী তাসলিমা কাজী। ওই ঘটনায় বিচার চেযে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বরাবর আবেদন করেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দমন ও নির্মূল করতে গিয়ে তৎকালীন আওয়ামী সমর্থিত ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সহস্রাধিক মানুষ নির্মমভাবে গুলিতে নিহত হন।
এ আন্দোলনে কয়েক হাজার মানুষ গুলিতে মারাত্মক আহত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গণতন্ত্রকামী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও সাধারণ মানুষের লাল বিপ্লবে বাংলা বসন্তের ফলে গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বিগত সংসদ ভেঙে দেয়া হয়। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নেয় নতুন অন্তর্র্বর্তী সরকার।
আন্দোলনে বিগত সরকারের নির্দেশে পরিচালিত হত্যা গনহত্যা ও মারাত্মকভাবে জখমের শিকার ঘটনার বিচারের দাবীতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে দেশের বিভিন্ন থানা মামলা দায়ের হচ্ছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও ভিকটিমদের পক্ষে অভিযোগ আনা হচ্ছে।