বালু ও পাথর খেকোদের হাত থেকে চা-বাগান রক্ষায় জাফলংয়ে মানববন্ধন

4

কে.এম লিমন গোয়াইনঘাট

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের ডাউকি নদীর পাড়ে চা-বাগান সংলগ্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন বন্ধ করে ঐতিহ্যবাহী জাফলং চা-বাগান রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার সকালে ১১নং মধ্য জাফলং ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে জাফলং ব্রীজে কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। “আমার বাগান আমার মা, ধ্বংস হতে দিবো না।
“জাফলং বাসীর ঐতিহ্য, ধ্বংস হতে দিবো না। অবৈধ পাথর ও বালু খেকোরা হুশিয়ার সাবধান” সিলেটের ঐতিহ্য, জাফলং চা-বাগানকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে সর্ব সাধারণের সহযোগীতা চাই, চা শিল্পের ক্ষতি, মানবো না মানবো না এরকম বিভিন্ন সেøাগান সংবলিত প্লেকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় জাফলং চা বাগানের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) নাসির উদ্দিন খাঁন’র সভাপতিত্বে ও মধ্য জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল হাসানের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন, মধ্য জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ, ফিল্ড সুপার ভাইজার কপিল উদ্দিন লিটন, মধ্য জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম মুছা, সয়েন ব্যানার্জি, রিনি প্রধান, পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কামাল হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য সারবেন মাহালী, যুবদল নেতা ফরিদ, সালেহ আহমদ, নওয়াব আলী, লিয়াকত আহমদ প্রমুখ।
এ সময় স্থানীয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও জাফলং চা বাগানে বসবাসরত সর্বস্তরের নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, জাফলং চা বাগান হচ্ছে উত্তর সিলেটের অনন্য এক ঐতিহ্য। একটি চক্র জাফলং নদী থেকে দিনে রাতে বালু তুলে বাগানকে ধ্বংস করছে। যার ফলে জাফলং ব্রীজসহ বাগান ধ্বংসের মুখে।
আপনারা দয়া করে আমাদের এ ঐতিহ্যকে রক্ষায় সবাই এগিয়ে আসুন। পাথর ও বালু খেকোদের দৌরাত্ম্যে এবং নদী ভাঙনের কবলে ইতিমধ্যে এই চা বাগানের প্রায় ৩০০ একর ভ‚মি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন অবশিষ্ট যেটুকু রয়েছে সেটুকু রক্ষায় যদি দ্রæত ব্যবস্থা না নিলে একসময় এই চা বাগানের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। কাজেই বিলীন হয়ে যাওয়ার আগে এই চা বাগান রক্ষায় আপনারা যদি কোন পদক্ষেপ না নেন তাহলে আমরাও (চা শ্রমিকরা) আমাদের অস্তিত্ব রক্ষায় মিছিল, মিটিং ও মানববন্ধনসহ লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাবো।