শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে ঢাকার মুগদা এলাকার কাউন্সিলর ও আওয়ামীলীগ নেতা মো. সিরাজুল ইসলাম ওরফে বিএম সিরাজুল ইসলামকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। শনিবার বিকাল পাঁচটার দিকে উপজেলার শহরতলীর রাধানগর এলাকার একটি অভিজাত হোটেল এন্ড রিসোর্ট থেকে তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মুগদা থানায় নাশকতা মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চত করে মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার এইচ কে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাদের কাছে ইনফরমেশন ছিল তিনি আজ রাতেই মৌলভীবাজারের সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাবেন। তিনি মুগদা থানায় এজাহারভ‚ক্ত মামলার আসামী। তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মুগদা এলাকায় ছাত্রদের ওপর যে হামলা করা হয়েছিল তিনি ওই হামলায় সরাসরি নেতৃত্বে ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের অভিযানিক দল প্রথমে তার অবস্থান নিশ্চিত করে। পরে তাকে আটক করা হয়। এখন তাকে আমাদের স্থানীয় থানায় রাখবো। পরবর্তিতে তাকে আমরা সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করব।
রিসোর্ট সূত্রে জানাযায়, সিরাজুল ইসলাম শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তাদের রিসোর্টে উঠেন। উনার সাথে আরো ১০/১২ জন আসেন। সবাই একদিনের জন্য ৪/৫টি রুম বুকিং করেন।
এদিক মুগদা এলাকার বাসিন্দা মো. জাহিদ হোসেন বলেন, বিএম সিরাজুল ইসলাম মুগদা এলাকার সন্ত্রাসী বাহিনীর গডফাদার ছিলেন। বিগত সরকারের আমলে বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপর উনি নিজে লাঠি-সোঠা নিয়ে আক্রমন করতেন। সরাসরি উনি বিরোধী মতের মানুষদের উপর নির্যাতন চালিয়েছেন। সর্বশেষ ছাত্র আন্দোলনের সময়ও তিনি ছাত্রদের উপর সরাসরি হামলায় জড়িত ছিলেন। তিনি ঢাকার মুগদা এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের কাউন্সিলর এবং সাবেক ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ছিলেন।