কাজির বাজার ডেস্ক
একটি সুষ্ঠু, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে প্রশাসন, চিকিৎসকসহ সব ধরনের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। সে হিসেবে ছাত্রদের দাবি বা প্রত্যাশা পূরণে ‘দাদাগিরির মতো প্রশাসন বা চিকিৎসকদের ওপর চাপ প্রয়োগ না করার নির্দেশ দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কক্সবাজারের পাবলিক হলে আয়োজিত দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি নির্মূলে ছাত্র-নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনা সভায় এসব কথা বলে তিনি। মতবিনিময় সভায় হাসনাত বলেন, ‘যখন ভাঙার সময় আসে তখন আমরা এক হয়ে যাই। যেমন ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময়, একাত্তরের যুদ্ধে, নব্বইয়ের অভ্যুত্থানে কিংবা ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে আমরা সবাই এক হয়ে লড়েছিলাম। এ সময় আমরা কাউকে জিজ্ঞেস করিনি কে সরকারি চাকরি করে-কে করে না, কে বিসিএস ক্যাডার-কে ক্যাডার না। এভাবে পৃথিবীর সবকিছুতেই ভাঙার সময় এক হয় মানুষ, কিন্তু যখন গড়ার সময় আসে তখন বিভাজন সৃষ্টি হয়। ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত আমাদের মাঝে কোনো বিভেদ ছিল না। যখন রাষ্ট্র সংস্কার ও পুনর্গঠনের সময় এসেছে তখনই বিভাজন তৈরি করছি। এই জায়গা থেকে আমাদের বের হতে হবে। বাংলাদেশের প্রশ্নে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও তাদের দোসররা এখনো ওঁত পেতে আছে। সুযোগ পেলেই তারা বহু জীবনের বিনিময়ে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতার ওপর আঘাত হানতে পারে। এমন অবস্থায় জুলাই-আগস্টে যেভাবে আমরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, জনগণের অধিকার রক্ষায় সবাইকে সার্বক্ষণিক সজাগ থাকার আহŸান জানাই।’
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ফ্যাসিস্টদের সরাতে শত শত ছাত্র-জনতা শহিদ হয়েছেন। তারা তো কোনো পদ-পদবি চাননি। আন্দোলন শেষে আমরা যখন রাষ্ট্র ও সরকার মেরামতের কাজে হাত দিয়েছি, তখন অনেকেই পদ-পদবির জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন।’
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন চোখে চোখ রেখে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গে স্বৈরাচার সরকার যে সম্পর্ক রাখত তা হলো দয়া করার মতো। আগামীর বাংলাদেশে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে চোখে চোখ রেখে।’
মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি, কক্সবাজারের সমন্বয়ক শাহেদ ওয়াহেদ, শাহেদ মাহমুদ লাদেস, সাহাব উদ্দিন চৌধুরী, ফাহমিদা হাসানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।