বন্যায় সিলেট বিভাগের ১০৭টিসহ ২৭৯৯ প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত

4

 

কাজির বাজার ডেস্ক

বন্যার কারণে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ১১ জেলার ২ হাজার ৭৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি এবং বইপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের সংস্কার কার্যক্রমের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সাম্প্রতিক অকস্মাৎ বন্যায় প্রাথমিক শিক্ষা সেক্টরে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং করণীয়’ সংক্রান্ত সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। সভায় উপস্থাপিত তথ্য বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে নোয়াখালীর ৭৬৩ টি, ল²ীপুরের ৫০১ টি, ফেনীর ৫৫০ টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২২ টি, কুমিল্লার ৫২৩ টি, চাঁদপুরের ১৬৯ টি, চট্টগ্রামের ১৬৪ টি, মৌলভীবাজারের ৭৭ টি, সিলেটের ৮টি ও হবিগঞ্জের ২২টি বিদ্যালয় রয়েছে। এগুলো ছাড়াও জেলাভিত্তিক আউট অব স্কুল চিলড্রেন শিক্ষা কার্যক্রমের শিখন কেন্দ্রসমূহের নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী ও ল²ীপুর জেলার ১৮টি উপজেলার ৯৪৬টি শিক্ষণকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের কাজগুলো জরুরি ভিত্তিতে করতে হবে। সবাই মিলে কাজ করলে লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হব।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সরাসরি উপস্থিত ছিলেনÑবাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক নুরজাহান খাতুন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুস সামাদ, এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ মিয়া। এ ছাড়াও এ সংশ্লিষ্টরা অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের পোশাক ও ব্যাগের তালিকা ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার জন্য সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে বিদ্যালয়গুলোতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য বিøচিং পাউডার সংগ্রহসহ অন্যান্য জরুরি কার্যক্রম দ্রæত সম্পন্ন করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়।