কাজির বাজার ডেস্ক
দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে র্যাগিংয়ের শিকার শিক্ষার্থীদের প্রতিকারে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ও র্যাগিং বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিষয়টি জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় দেন। রিটকারী আইনজীবী এডভোকেট ইশরাত হাসান বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় কলেজগুলোতে র্যাগিংয়ের শিকার শিক্ষার্থীদের প্রতিকারে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। আদালতের আদেশের পর নীতিমালা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই নীতিমালা হাইকোর্টে দাখিল করা হয়।
এর আগে বিষয়টি নিয়ে জারি করা রুলে শিক্ষার্থীদের জীবন ও সম্মান রক্ষায় র্যাগিং বন্ধে নীতিমালা করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছিল আদালত। স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
২০২০ সালের ৯ অক্টোবর র্যাগিং বন্ধ ও র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইউজিসিসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক সহায়তায় জন্য অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি গঠন ও মনিটরিংয়ের জন্য অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড গঠনে সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নোটিশে বলা হয়েছিল।