কাজির বাজার ডেস্ক
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে দেশের ১১টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, দুটি সরকারি কলেজ ও ৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩টিতে ছাত্ররাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরও অন্তত ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলে ক্ষমতাসীনদের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের নির্যাতনসহ নানা অপকর্মে অতিষ্ঠ ছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান জানাচ্ছেন তাঁরা।
গতকাল পর্যন্ত যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেগুলো হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি), টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি), ইডেন মহিলা কলেজ ও রাজশাহী কলেজ। এর মধ্যে ইডেন ও রাজশাহী কলেজ ছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোয় ছাত্ররাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া ছয় মেডিকেল কলেজ হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ।
এ ছাড়া অন্তত ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।