কাজির বাজার ডেস্ক
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং দেশের মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের ১৫ জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে দেশের ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
১৫ জেলা হলো : সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, রংপুর, জামালপুর, গাইবান্ধা, ফেনী, রাঙামাটি, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাট ও কক্সবাজার।
প্রতিমন্ত্রী জানান, এসব জেলায় এখন পর্যন্ত নগদ ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা, ৮ হাজার ৭০০ টন ত্রাণের চাল, ৫৮ হাজার ৫০০ বস্তা শুকনো ব্যাগ ও অন্যান্য খাবার, শিশু খাদ্য কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিনই বন্যা বিস্তৃতি লাভ করছে। পুরো ১৫ জেলার মানুষই পানিবন্দী নয়। কোনো কোনো জেলা আংশিকভাবে বন্যাকবলিত। এখন পর্যন্ত আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৬ হাজার ২২৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মনে করি বন্যাদুর্গত এলাকায় যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা পর্যাপ্ত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যা আক্রান্ত অঞ্চল নিয়ে সরকার কাজ করছে। বন্যা ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃতি লাভ করলে সেই জায়গাগুলোকেও আমরা অ্যাড্রেস করব। বন্যার কারণে দক্ষিণ দিকেও প্লাবিত হতে পারে। আগামী মাস (আগস্ট) কিংবা তার পরের মাসেও (সেপ্টেম্বর) এ রকম আরেকটা বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী বন্যার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।