কাজির বাজার ডেস্ক
আসন ফাঁকা রেখে বিমান উড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জাহিদুল ইসলাম ভ‚ঞা। রবিবার কুর্মিটোলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বলাকা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যাত্রীদের অভিযোগ অনলাইনে বিমানের টিকিট পাওয়া যায় না। আবার আসন ফাঁকা রেখে বিমান যাত্রী পরিবহন করে। আমি বিমানের দায়িত্ব পাওয়ার পর এ সমস্যা সমাধান বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি। ডিজিটালের পূর্ণ সুবিধা ব্যবহার করে যাত্রীদের সেবা দিতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ১০ বছরের মধ্যে নতুন ৩২টি এয়ারক্রাফট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত করা হবে। উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস এবং বোয়িং কোম্পানির কাছ থেকে এসব উড়োজাহাজ কেনা হবে।’
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের বিষয়ে বিমান এমডি বলেন, ‘বিমান হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টার্মিনালে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য প্রস্তুত। বিমান ৫২ বছর ধরে এ কাজ করছে। বিভিন্ন দেশের অধিকাংশ বিমানবন্দরে যারা ন্যাশনাল ক্যারিয়ার বা তাদের সিস্টার্স কনসার্ন, তারাই দায়িত্ব পালন করে। সেই হিসেবে বিমান এটা দাবি করে। সেই হিসেবে আমরা আশাবাদী।’
নতুন গন্তব্যে বিমানের ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনার বিষয়ে বিমানের এমডি বলেন, ‘আমাদের এক্সিটিং (নতুন গন্তব্য) ফ্লাইট বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। মালে, কুনবিং, জাকার্তা, সিউল ও সিডনিতে আমরা পর্যায়ক্রমে প্রত্যাশা করছি।’
বিমানের ফ্লাইট ডিলে সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের অন-টাইম পারফরম্যান্স নরমালি ৭৪ পারসেন্ট। গত মাসে সেটি ৬৭ শতাংশ ছিল। কীভাবে ডিলে কমানো যায় সে বিষয়ে পরিকল্পনা করছি।’
এ সময় বিমানকর্মীদের সোনা চোরাচালান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা কখনই গ্রহণযোগ্য হবে না।’
দুর্নীতি করে কোনো প্রতিষ্ঠান আগাতে পারে না জানিয়ে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘বিমানে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই। এর আগে এখানে যারা দুর্নীতি করেছেন, বিভিন্ন লেয়ারে তাদের শাস্তি হয়েছে। কাউকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, কাউকে পদঅবনতি করা হয়েছে, কারও বেতন কমানো হয়েছে। আমিও এই জায়গাগুলোতে কাজ করব এবং অব্যাহত থাকবে। আমরা টিকিটিংয়ের জায়গা ও দুর্নীতির জায়গা থেকে মুক্ত হতে চাই।