কে.এম লিমন, গোয়াইনঘাট
ভারত ভ্রমণ শেষে দেশে ফেরার পথে জুনায়েদ হোসাইন নামে এক বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত জুনায়েদ ঢাকার শ্যামলী শেরেবাংলা নগর এলাকার মৃত ইকবাল হোসেনের ছেলে। পাসপোর্ট নাম্বারঃ অ১৩১১৪৫১৪।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে তামাবিল-ডাউকি সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভারতীয় ডাউকি ইমিগ্রেশন পুলিশ মরদেহ তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের নিকট হস্থান্তর করে।
ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, বাংলাদেশি নাগরিক জুনায়েদ হোসাইন গত ১৯ জুন তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে তামাবিল ইমিগ্রেশন হয়ে ভারত ভ্রমণে গিয়েছিলেন। ২২ জুন শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে দেশে আসার জন্য ভারতের ডাউকি ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করে। ইমিগ্রেশন শেষ করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) চেকপোস্টে আসার পর কতৃপক্ষের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন তার সন্তানের পাসপোর্টে ভারতের ডাউকি ইমিগ্রেশনের সিল দেওয়া হয়নি। পাসপোর্টে সিল আনতে পুনরায় ইমিগ্রেশনে যাওয়া পথে জুনায়েদ হোসাইন বুকে ব্যথা অনুভব করে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ভারতীয় ডাউকি ইমিগ্রেশন পুলিশ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার জুনায়েদকে মৃত ঘোষণা করেন।
তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের (ইনচার্জ) রুনু মিয়া জানান, ঘটনার পর ডাউকি ইমিগ্রেশন পুলিশ বিষয়টি আমাদের অবগত করে। ঘটনায় পর ভারতীয় ডাউকি পুলিশ আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করে রাত সাড়ে ১২টার দিকে জুনায়েদ হোসাইনের মরদেহ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে আমরা বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে জিডি মূলে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি।