স্টাফ রিপোর্টার
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন (বিপিএম-বার, পিপিএম) বলেছেন, বাংলাশে পুলিশের সক্ষমতা এখন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তাই এখন কেউ বিচ্যুত আচরণ করে পার পাবে না। এখন কেউ লুকিয়ে লুকিয়ে অপরাধ করারও কোনো সুযোগ নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় হোক আর মৌলভীবাজারের গোপন আস্তানা হোক- সবখানেই পুলিশের নজরদারি রয়েছে। তাই দুর্গম এলাকায়ও জঙ্গিরা লুকিয়ে রক্ষা পাচ্ছে না। জঙ্গিরা যাতে কোথাও আস্তানা গড়তে না পারে এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
সোমবার সকালে সিলেটে ‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ইমাম, আলেম ও সুশীল সমাজ প্রতিনিধিদের ভ‚মিকা শীর্ষক কর্মশালা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) সিলেট পুলিশ লাইনস্থ শামছুল হক মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
এটিইউ’র ডিআইজি (প্রশাসন) মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, পিপিএম-এর সভাপতিত্বে এতে মুখ্য আলোচক ছিলেন-এটিইউ’র অতিরিক্ত আইজিপি এস এম রুহুল আমিন।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহম ছিদ্দীকী এনডিসি, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান, পিপিএম, সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান এবং সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান (বিপিএম-বার, পিপিএম-সেবা)।
প্রধান অতিথিও বক্তব্যে আইজিপি আরো বলেন, জঙ্গিবাদীরা দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিতে চায়। তারা ছেলেদেরকে ভুল পথে ধাবিত করে। তাদেরকে দেশের মানুষ পছন্দ করে না। জঙ্গি হিসেবে পরিচিত হওয়া সবার জন্য লজ্জার। জঙ্গিবাদকে অনেকাংশেই দমন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন- মৌলভীবাজার, বান্দরবান ও অতি সম্প্রতি নেত্রকোনায় গড়ে উঠা জঙ্গি আস্তানা চিহ্নিত করে এর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, মুসলমানদের খাটো করার জন্য জঙ্গিবাদের সাথে ইসলামকে জড়ানো হচ্ছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জঙ্গিবা রুখে দিতে হবে। এর আগে আইজিপি সিলেট পুলিশ অফিসার্স মেস-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।