কাজির বাজার ডেস্ক
বাংলাদেশের নাগরিক প্রমাণ করতে পারলে দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলেও জাতীয় পরিচয়পত্র মিলবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এ কথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে মন্ত্রণালয় থেকে দ্বৈত নাগরিকত্বের সনদ আনা অর্থহীন বলেও জানিয়েছেন তিনি। সোমবার নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) আয়োজিত এনআইডি সংশোধনসংক্রান্ত এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটিতে ইটিআই মহাপরিচালকসহ অন্য কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি স্বীকার করেন, জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে এখনো জালিয়াতি হচ্ছে। এতে কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের আগামীতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে, সেদিকে নজর রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।
সিইসি জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র এখনো ১০০ ভাগ চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে আসেনি। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘যারা আবেদন করেন তারা সঠিক তথ্য দেন না। একইসঙ্গে যারা তথ্য নেন তারাও সঠিকভাবে তথ্য নিবন্ধন করেন না।’
কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নিতে গিয়ে নাগরিকরা যেন কোনো হয়রানির শিকার না হন এবং তাদের সঙ্গে যেন দুর্ব্যবহার করা না হয়।’
সিইসি বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ে এনআইডির গুরুত্ব এখন অপরিসীম। আমাদের ভোটার তালিকাও এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডিজিটালাইজড হয়ে গেছে। এনআইডি এখনও শতভাগ সেটেলড ডাউন হয়েছে, এটা আমার কাছে মনে হয় না। অনেকে অভিযোগ করেন যে, পরিবর্তন বা সংশোধন করতে হবে। সংশোধনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে যারা আবেদনকারী তাদের কারণে ভুল হয়ে থাকে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে তথ্যগুলো আমি যখন লিখছি, তখন সঠিকভাবে লিখছি না। কিছু সংকট আমাদের রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এনআইডি ব্যবস্থাপনা অনেক জটিল। আমি সেটা বুঝি না। তবে জনগণ এলে তাকে সেবা দিতে যেন দেরি না হয়। আমি সরকারি কর্মচারী। যেন হয়রানি না করি, দুর্ব্যবহার না করি, সেটা নিশ্চিত রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিয়ের পরে অনেকের স্বামীর নাম পরিবর্তন করতে হয়। কোনো কোনো দেশে এটা অপরিহার্য হিসেবে প্রয়োজন হয়। তাই স্বামীর নামটা অরিজিনালি থাকা উচিত। তাহলে বিড়ম্বনা হবে না।’
সিইসি আরও বলেন, ‘আমি জানি স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হয় না। তবে অস্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হয়। আমার হয়তো অস্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হয় না, কিন্তু ঘন ঘন অস্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে কী এনআইডি সংশোধন করতে পারব, সে দিকটাও দেখতে হবে।’
