কাজির বাজার ডেস্ক
সাপ্তাহিক বন্ধের দিন শুক্রবারও ক্লাস-পরীক্ষা চালু রাখার সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের একেক অঞ্চলের তাপমাত্রা একেক রকম। এখন উত্তরপূর্বাঞ্চল ও হাওর এলাকার তাপমাত্রা কম। তবে অতি বৃষ্টিতে কয়েকদিনের মধ্যেই সেখানে বন্যার কারণে পাঠদান বন্ধ রাখতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে প্রাকৃতিক বিপর্যয়সহ বিভিন্ন ছুটির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন শুক্রবারেও ক্লাস-পরীক্ষা চালু রাখার সিদ্ধান্ত আসতে পারে। আগামী বৃহস্পতিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না বন্ধ থাকবে সেই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আদেশের কপি পেয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে আদেশ জানানো হবে। তবে আমরা আদালতের আদেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আর এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। তিনি বলেন, নির্বাহী বিভাগ বিভিন্ন এলাকার পাঠদান বিষয়ে আবহাওয়া দপ্তর এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্দেশনা দিয়ে আসছে। তবে স্বতঃপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত এলে আমাদের কাজের ব্যাঘাত ঘটে। আমরা আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি শুরু হয়। এর এক দিন আগে ২৫ মার্চ কলেজগুলো ছুটিতে বন্ধ হয়েছিল। আর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় ছুটি শুরু হয়েছিল ২২ মার্চ। পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ শেষে গত ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলা হয়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এ সময় অভিভাবকদের পক্ষ থেকেও চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার দাবি ছিল। পরে দফায় দফায় হিট অ্যালার্টের মধ্যে গত রোববার (২৮ এপ্রিল) সারা দেশের স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়। এ অবস্থায় শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ হয়ে পড়ে অনেক শিক্ষার্থী। বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
গত সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক আদেশে দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ২ মে (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।