বাবরুল হাসান বাবলু, তাহিরপুর
আলোচিত ইসলামিক বক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে বয়ান করতে না দেয়ায় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ভাংচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতার একটি অংশ। সে সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অন্তত ২৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পুলিশের মুহুর্মুহু ফাঁকা গুলিতে আশপাশের সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
গত সোমবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে বাদাঘাট এলাকা থেকে জড়িত সন্দেহে পাচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। অন্যদিকে ঘটনার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে আয়োজক কমিটির অনেকেই রয়েছেন আত্মগোপনে।
জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজারে হিলফুল ফুজুল পরিষদ বাদাঘাটের ব্যানারে দুইদিন ব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে সোমবার রাতে আলোচিত ইসলামিক বক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে মাহফিলস্থলে নিয়ে আসার চেষ্টা করে আয়োজকরা। কিন্তু তাতে প্রশাসনের অনুমতি মেলেনি। যদিও রাত বারোটার দিকে মাওলানা মাদানী মাহফিলস্থলের বাইরে বাদাঘাটে বাজারে অবস্থান করছিলেন। পরে এ নিয়ে আয়োজকদের সঙ্গে প্রশাসনের অনেক দেন-দরবার চলে। শেষ পর্যন্ত বিষয়টিতে সমাধান না আসায় আয়োজক কমিটি তাদের মাহফিল এদিনের মতো সমাপ্ত ঘোষণা করে।
এদিকে মাহফিল সমাপ্ত ঘোষণা করলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আগত লোকজন। পরে বিক্ষুদ্ধ জনতা নানা ¯েøাগান দিয়ে বাজারের বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ জনতার একটি অংশ বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে ও ভাংচুর চালায়। ভাংচুরকারীরা তদন্ত কেন্দ্রের বাঁশের বেড়া ও সাইনবোর্ড উপড়ে ফেলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এসময় ২৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আসে। এ ব্যাপারে হিলফুল ফুজুল পরিষদের আয়োজক কমিটির কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয নি।
তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন বলেন, পুলিশের কাজে বাধা দেয়ায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে আঠক করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।