কাজির বাজার ডেস্ক
কোরানের আংশিক পুড়ে যাওয়া দুটি পৃষ্ঠা সংবলিত খামে দেখে চমকে উঠেছিলেন ইতালির প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তার আগ পর্যন্ত দেশটির বন্দর শহর মনফালকোনের মুসলিম বাসিন্দারা ২০ বছরের বেশি সময় ধরে তুলনামূলকভাবে শান্তিতে বসবাস করছিল। খবর দ্য গার্ডিয়ান। মনফালকোনের বাংলাদেশি বাসিন্দা এবং অন্যরা বলছে, সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নামাজের পাশাপাশি সমুদ্রসৈকতে মুসলিম নারীদের বুরকিনি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা ইসলামবিরোধী এজেন্ডার অংশ। এ ঘটনায় বিক্ষোভ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দারুস সালাম মুসলিম সাংস্কৃতিক সমিতিকে সম্বোধন করে শহরটির ইসলামবিরোধী কট্টর ডানপন্থি মেয়র আনা মারিয়া সিসিন্ট সাংস্কৃতিক সমিতিতে নামাজ নিষিদ্ধ করার পরপরই খামটি আসে। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বোউ কোনাতে বলেছেন, ‘এটি বেদনাদায়ক, গুরুতর অপমান যা আমরা কখনই আশা করিনি। কিন্তু এটা কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়। চিঠিটি একটি হুমকি ছিল। ঘৃণার প্রচারণা বিষাক্ততা সৃষ্টি করেছে।’
মনফালকোনের জনসংখ্যা সম্প্রতি ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। এমন একটি ইতিবাচক জনসংখ্যার প্রবণতা দেশটির জন্য আশীর্বাদ। কিন্তু শহরের মেয়র সিসিন্ট ২০১৬ সালে তার প্রথম ম্যান্ডেট জয়ের পর থেকে ইসলাম-বিরোধী এজেন্ডা লালন করে আসছেন।
শহরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত ফিনক্যান্টিয়েরির মালিকানাধীন বিস্তীর্ণ শিপইয়ারর্ডের ভ‚মিকাকে বড় করে দেখা হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে গত দুই দশক ধরে প্রধানত বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মীরা বেশি এসেছে কাজের জন্য।
পরিসংখ্যান অনুসারে, শহরটি অভিবাসীর সংখ্যা ৯ হাজার ৪০০। এর মধ্যে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের সংখ্যা ৬ হাজার ৬০০।