স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হত্যার প্রধান আসামি সিটি করপোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপুকে ৩ দিনের রিমান্ডে দিয়েছে আদালত। রবিবার পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ড চাইলে সিলেট মেট্রোপলিটন আদালত-২ এর বিচারক সগির আহমেদ ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোঃ মোখলেসুর রহমান। তিনি জানান, রবিবার সকালে আরিফ হত্যার প্রধান আসামি কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। পরে শুনানি শেষে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
১২ ফেব্রæয়ারি সোমবার বেলা ১১টার দিকে উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হলে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপু। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক এ কিউ এম নাসির উদ্দীন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর রাত ১২টার দিকে সিলেট নগরীর বালুচর টিভি গেইট এলাকা দিয়ে যাওয়ার পথে কয়েকজন যুবক আরিফকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। পরে এ ঘটনায় নিহত আরিফের মা আঁখি বেগম বাদী হয়ে এসএমপির এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপুসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করা হয়। আরিফ আহমদকে কুপিয়ে ফেলে যাওয়ার সময় দৌড়ে সেখানে গিয়েছিলেন মা আঁখি বেগম।
তিনি বলেন, ঘটনার পরই আমি সেখানে গিয়ে যাই। দেখি সাদা পাঞ্জাবি পরে হিরণ মাহমুদ নিপু মোটরসাইকেলে উঠে চলে যাচ্ছেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় ছেলেকে অটোরিকশায় করে হাসপাতালের পথে রওয়ানা হই। যাওয়ার পথে ছেলে তাকে বলেছেন, হিরণ মাহমুদ নিপু, রনি, মামুন, হেলালসহ ১৫-২০ জন মিলে তার ওপর হামলা চালিয়েছে। গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ হিরণ মাহমুদ নিপুকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়ে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।