সিলেটে প্লাস্টিক বর্জ্য পৃথকীকরণ প্ল্যান্ট উদ্বোধন করলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

25

স্টাফ রিপোর্টার

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)-এর প্লাস্টিক ও মিউনিসিপ্যাল সলিড বর্জ্য টেকসই উপায়ে ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ১৫ কোটি ত্রিশ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি বর্জ্য পৃথকীকরণ প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। শনিবার সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানার লালমাটিয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ডে এই প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি।
এসময় সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিুবর রহমান হাবিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম, সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশন এবং লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড-এর যৌথ উদ্যোগে এটাই দেশের প্রথম ও একমাত্র প্লাস্টিক বর্জ্য পৃথকীকরণ প্ল্যান্ট। এই প্ল্যান্টের মাধ্যমে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর অপচনশীল প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলাদা করা সম্ভব হবে। এই প্ল্যান্টটি চালুর ফলে সিলেট মহানগরী প্লাস্টিক বর্জ্যরে হাত থেকে মুক্তি পাবে বলে আশা করছে সিসিক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, প্লাস্টিক বর্জ্য টেকসই ব্যবস্থাপনা আমাদের দীর্ঘদিনের চ্যালেঞ্জ। পুরো পৃথিবীই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিভিন্ন ধরনের টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ সরকারও সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে প্লাস্টিক দূষণ হ্রাসে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের একার পক্ষে কঠিন এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব নয়, তাই প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে লাফার্জ হোলসিম এগিয়ে আসার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন- সিলেট সিটিকে একটি প্লাস্টিকমুক্ত নগরে রুপান্তর করা আমার অন্যতম লক্ষ্য। এই উদ্দেশেই আমরা লাফার্জ হোলসিমের সঙ্গে মিলে কাজ করছি। সিলেটবাসীর কাছে আমার অনুরোধ- আপনারাও সচেতন হোন এবং প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার কমান। আর যেখানে-সেখানে প্লাস্টিক পণ্য ফেলে পরিবেশের ক্ষতি করবেন না। আপনাদের সাথে নিয়ে আমরা সিলেটকে দেশের প্রথম প্লাস্টিক বর্জ্যমুক্ত মহানগর গড়তে চাই।