বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, একতরফা নির্বাচন করতে গিয়ে সরকার দেশকে এক ভয়ংকর সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার ভোট ডাকাতির মাধ্যমে অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে আছে। তাই আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের আহŸান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ভোট ডাকাতির মাধ্যমে অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আছে। এই ‘ডামি’ নির্বাচন তামাশা তা দেশবাসী ধরে ফেলেছে। একদিন সেই ক্ষমতা ছেড়ে দেশ পালাতে বাধ্য হবে। তিনি আরো বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি একতরফা ‘ডামি’ নির্বাচন করে ক্ষমতা দখলে রাখতে তৎপর আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের জনগণ অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় না। ফলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সরকার তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দিয়ে একতরফা নির্বাচনী তামাশা আয়োজন করতে গিয়ে প্রহসনের নির্বাচন দিচ্ছে তা জনগণ প্রত্যাখান করবে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সরকারের পদত্যাগ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং তফসিল বাতিলের দাবিতে কালীঘাট এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেছেন, সরকার নির্বাচনের নামে তামাশার আয়োজন করেছে। বিএনপির অফিসে তালা ঝুলিয়ে শেখ হাসিনা সরকার নির্বাচনের নামে তামাশার উৎসব করছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় নেতাকর্মীদের নির্যাতন-নিপীড়নের মাধ্যমে প্রতিহিংসার দাবানল জ্বালিয়ে দিয়েছে। অধিকাংশ নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করছে। তিনি বলেন, সরকার বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। জনগণ ও রাজনৈতিক শক্তিকে নির্বাচনের নামে তামাশার উৎসব বুমেরাং করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহŸান জানাচ্ছি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহŸায়ক, নজিবুর রহমান নজিব ও সৈয়দ মঈন উদ্দিন সোহেল, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন ও আনোয়ার হোসেন মানিক, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার আদনান, আব্দুল হাকিম, মির্জা বেলায়েত হোসেন লিটন, শেখ কবির আহমদ, আব্দুর রহিম মল্লিক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক আব্দুল ওয়াহিদ সোহেল, তাজ উদ্দিন মাছুম, মন্জুরুল হাসান মন্জু, সুয়াইব আহমদ সোয়েব, নাদির খান, মোঃ লুৎফুর রহমান মোহন, খায়রুল ইসলাম খায়ের, মোঃ বচ্চু মিয়া, সেলিম আহমদ সেলু, মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক, আলমগীর বক্স চৌধুরী শোয়েব, সৈয়দ লোকমানুজ্জামান, সৈয়দ রহিম আলী রাসু, মিনহাজ পাঠান, রুবেল বক্স, আব্দুল মান্নান, সাহিদুল ইসলাম কাদির, নজরুল ইসলাম, মালেক আহমদ (১১ নং ওয়ার্ড), খুর্শেদ আলম খুশু, আব্দুল মুমিন, ছালেক আহমদ, দুলাল আহমদ, ফরহাদ আহমদ, ইফতেখার আহমদ পাবেল, মোঃ রুবেল ইসলাম, আব্দুস সামাদ লস্কর মুনিম, জয়নাল আবেদিন রাহেল, হারুনুর রশিদ হারুন, নাহিয়ান আহমদ রিপন সহ অসংখ্য নেতাকর্মী। বিজ্ঞপ্তি