সুনামগঞ্জে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় পার্টি ও বিএনএম প্রার্থী

44

একে কুদরত পাশা, সুনামগঞ্জ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ (জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, মধ্যনগর ও ধর্মপাশা) আসনে নির্বাচন বর্জন করলেন জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী আব্দুল মান্নান তালুকদার। মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় জামালগঞ্জ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, আমি ১৯৮৬ সাল থেকে জাতীয় পার্টির সাথে একনিষ্ঠভাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছি।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ ১ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করি। মহাজোট সমর্থনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছিলাম। এবারো দ্বাদশ নির্বাচনে মনোনীত হয়ে মনোনয়ন দাখিল করি ও নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। তৃণমূল ভোটারের কাছ থেকে বেশ সাড়া পেয়েছি। কিন্তু প্রচার প্রচারণায় আমি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে বারবার যোগাযোগ করলেও তাঁদের কাছ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছি না। এ অবস্থায় আমি স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি আসন ভাগাভাগি ও প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই আমি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করলাম।
এদিকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকা এবং প্রতিদ্ব›দ্বী দুই প্রার্থীর নানা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনে বিএনএম এর প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান শামছুল আবেদীন।
মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় তার নিজ বাসবভনে ডাকা সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।
নির্বাচনী মাঠে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকার অভিযোগ এনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) দলের প্রার্থী দেওয়ান শামছুল আবেদীন বলেন, আমি নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর থেকেই আমার বিরুদ্ধে নানা রকমের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয় আর এটি একবার করা হয়নি নির্বাচন কমিশন, সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট সব জায়গা থেকে আমাকে নির্বাচন থেকে সড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সেই জায়গায় আমি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে গিয়ে প্রার্থীতা বৈধতা করে নির্বাচনে ফিরে এসেছি, কিন্তু আমার প্রথমে মনে হয়েছিলো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিন্তু বর্তমানে যা দেখছি সেখানে বলতে হচ্ছে দেশে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডটাই নাই। আমার সমর্থিত মানুষদের ক্ষমতাশীলরা হামলা চালিয়েছে মারধর করেছে, তাছাড়া যাদের বিরুদ্ধে অনেক পুরোনো রাজনৈতিক মামলা ছিলো সেগুলো দেখিয়ে আবারও আমার মানুষদের উপর হামলা চালাচ্ছে, সেজন্য এখানে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই, এছাড়া এই আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী দুই হাত ভরে টাকা বিলাচ্ছেন যেখানেই যাচ্ছেন টাকা দিয়ে আসছেন এটা নির্বাচনে পরিবেশ নয়, তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোর এবং আমি আজকে থেকে কোন প্রার্থী নয় এবং আগামী ৭ জানুয়ারির ভোট প্রত্যাখান করলাম। জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিগত নির্বাচন গুলোতে বিনা ভোটে এমপি হয়েছেন এবং নৌকার প্রার্থী ও ফাঁকা মাঠে গোল করার চেষ্টা করছেন। একটি নীরব বিপ্লব ঘটানোর চেষ্টা করছেন।