সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, প্রতি কেন্দ্রে ন্যূনতম ২০ জন সদস্য নিয়ে প্রায় ৮ লাখ নেতাকর্মীর সমন্বয়ে ৪৩ হাজার ভোটকেন্দ্রে আমরা কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠন করে দিয়েছি। এ ছাড়া আমাদের জেলা ও বিভাগীয় সমন্বয় কমিটিও গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মুখের ভাষা যেমন পাকিস্তানিরা কেড়ে নিতে পারেনি তেমনি আমাদের ভোটের অধিকারও পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের সমর্থক বিএনপি-জামায়াত কেড়ে নিতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জ-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী ড. মোহাম্মদ সাদিকের পক্ষে সুনামগঞ্জ পৌর শহরে গণসংযোগ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যেখানে বেশি ফোকাস করছে সেটা হচ্ছে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ধারণা ও সাংবিধানিক শাসন। বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক মানবাধিকার যেন রক্ষা হয়। এটি আমাদের দলের জন্য যতটুকু না প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন দেশের বৃহৎ স্বার্থে। বাংলাদেশের মানুষ ৭ জানুয়ারি কাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে সেই রায় দিবে। কিন্তু আন্দোলনের মাঠে ইতোমধ্যে রায় দিয়ে দিয়েছে তারা ভোটের পক্ষে, সাংবিধানিক অনুশাসন ও আইনের শাসনের পক্ষে।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক ভাষা হচ্ছে সহিংসতা। বাংলাদেশের মানুষ ইতোমধ্যে তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশে ভোটের গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। এটি নৌকার পক্ষে যেমন গণজোয়ার, তেমনি গণতন্ত্রের পক্ষেও। তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, আমরা যারা তরুণ প্রজন্ম রয়েছি সবার আগে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে। আমরা দেখেছি যে যেই রাজনৈতিক দল করুক, যে পেশায় থাকুক না কেন সবার জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ একটি অভিন্ন স্বপ্ন। এজন্য তরুণ প্রজন্ম সবাই স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে, শেখ হাসিনার পক্ষে।
এ সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিব হাসান, ইবলুল হামাস, আল আমিন রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দীপঙ্কর কান্তি দে, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রিপন, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান পলাশ, সাধারণ সম্পাদক শাফায়াত জামিলসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।