সিলেটে ১১ লাখ ৪৩ হাজার শিশুকে টিকা খাওয়ানো হবে

41

 

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দিকী বলেছেন, আগামী ১২ ডিসেম্বর জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাস্পেইন সফল করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি অন্যান্য বিভাগের সংশ্লিষ্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করতে হবে। তাছাড়া সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, বিশেষ করে মসজিদের ইমাম, শিক্ষক ও স্থানীয় পর্যায়ের বিশিষ্ট মানুষের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে।
তিনি বৃহস্পতিবার বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন বিষয়ক এ্যাডভোকেসি ও কর্মপরিকল্পনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভ‚ঞা, পরিবার পরিকল্পনা পরিচালক মাজহারুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত ডিআইজি জেদান আল মুসা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় সমন্বয়ক ডা. খালিদ, সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী, স্থাস্থ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক ডা. নূরে আলম শামীম, সিসিকের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন, জাতীয় পুষ্টি পরিষদের ডেপুটি ম্যানেজার সুপরা চৌধুরী, তথ্য উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন প্রমুখ।
সভায় স্বাস্থ্য পরিচালক জানান, এবারের ক্যাম্পেইনে সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় ৮ হাজার ৫৪৯টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ১১ লাখ ৪৩ হাজার ৪২০ শিশুকে লাল ও নীল রং এর টিকা খাওয়ানো হবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোর জন্য কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। বিরূপ আবহাওয়া কিংবা অন্য কোনো কারণে ১২ ডিসেম্বর শিশুদের টিকা খাওয়াতে না পারলে বাদপড়া শিশুদের পরবর্তী ৪দিন বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা খাওয়ানোর ব্যবস্থা থাকবে। অন্যদিকে রেলস্টেশন, বাস স্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট ইত্যাদিসহ বিভিন্ন স্থানে বাড়তি টিকা কেন্দ্র থাকবে। সভায় টিকা খাওয়ানো কর্মসূচি সফলে গণমাধ্যমসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়। বিজ্ঞপ্তি