সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদÐ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদÐ প্রদান করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দÐপ্রাপ্ত আসামির নাম আব্দুল হামিদ মিল্টন। তিনি সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমান ওরফে লম্বু মিয়ার ছেলে। আদালতের পিপি খায়রুল কবির রুমেন বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে মৃত্যুদÐ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদÐ প্রদান করা হয়েছে। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট বলে জানান পিপি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মইনপুর গ্রামের রিপা বেগমের সঙ্গে প্রথমে ফখর উদ্দিনের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের কারণে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়। সেখানে এক কন্যা সন্তান ছিল তার। পরে রিপা আব্দুল হামিদ মিল্টনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে এক কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। পারিবারিক কলহের কারণে মিল্টনের সঙ্গেও সংসার করা হয়নি রিপার। গত বছরের ৩ ফেব্রæয়ারি আদালতের মাধ্যমে মিল্টনকে তালাক দেন রিপা বেগম। এতে ক্ষিপ্ত হন মিল্টন। তিনি তার মেয়ে নুদিয়াকে তার বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর রিপা তার আগের স্বামীর সন্তানসহ বাবার বাড়িতে চলে আসেন। পরে মিল্টনের বন্ধু গোলজারের সঙ্গে রিপার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে গোলজারকে নিয়ে রিপা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তেঘরিয়ায় বাসা নিয়ে বসবাস করতে থাকেন।
গত বছরের ৬ মার্চ বেলা ১১টার দিকে তেঘরিয়ার রিপার বাসায় যান মিল্টন। একপর্যায়ে রিপার গলা কেটে হত্যা করে বাসা থেকে পালিয়ে যান মিল্টন। এ ঘটনায় রিপার বাবা মদরিছ আলম বাদী হয়ে মিল্টনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
এরপর মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে আজ মঙ্গলবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।