স্টাফ রিপোর্টার
নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন, নির্বাচন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য নির্বাচন করতে হবে, না হয় সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে। নিশ্চয়ই এটা আমাদের কাম্য হতে পারে না। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সরকারী দপ্তরসমূহের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। আনিছুর বলেন, একটি দল নির্বাচনে আসলে নির্বাচন পেছানোর বিষয় বিবেচনা করা যাবে। আমাদের সুযোগ আছে পেছানোর কারণ পরে যথেষ্ট সময় আছে। তবে এখন পর্যন্ত কারো কাছ থেকে ওইরকম পাইনি।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শতভাগ দল নিয়ে নির্বাচন করার পরিকল্পনা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শতভাগ কখনোই আসেনি। ইতিহাস বলে। অধিকাংশ দল নির্বাচন করে, সেটাই তখন নির্বাচনী আমেজ চলে আসে। আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বরাবরই আহবান জানাচ্ছি, আমাদের নিবন্ধিত ৪৪টা দলের সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।
বিএনপি নির্বাচনে না আসলে প্রভাব পড়ার কোনও আশঙ্কা আছে কিনা এমন প্রশ্নে ইসি আনিছুর রহমান বলেন, গণমাধ্যমে আসা তথ্য অনুযায়ী ৭০ ভাগ দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা উঠছে। ৭০ ভাগ যদি হয়ে থাকে, যদিও কত ভাগ সেটি নির্বাচন কমিশন বিশ্লেষণ করেনি। যদি ৭০ ভাগই অংশ নিয়ে থাকে তবে নির্বাচনে প্রভাব পড়ার কোনও কারণ নেই।
নির্বাচনী পরিবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ বিঘœ হওয়ার মতো কিছু দেখছি না। যেহেতু একটা চলমান রাজনৈতিক কর্মসূচি আছে, সেটাকে কেন্দ্র করে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ঘটনা হয়েছে। সেটার সাথে নির্বাচনকে মেলানো ঠিক হবে না। এটা নির্বাচনকে উপলক্ষ করেই হচ্ছে, কিন্তু নির্বাচনী পরিবেশ বিঘœ করছে এমন কিছু পরিলক্ষিত হয়নি।