ধর্মপাশা সংবাদদাতা
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার ১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষক মুসলিম এবং ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষক হিন্দু ধর্মাবলম্বী। ফলে মুসলমান শিক্ষকদের বাধ্য হয়ে হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এবং হিন্দু শিক্ষকদের বাধ্য হয়ে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে পাঠদান করাতে হচ্ছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আলাদাভাবে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ না থাকা এবং পদায়নের ক্ষেত্রে ধর্মীয় বিষয়কে গুরুত্ব না দেওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার ১৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নে কাইকুরিয়া, গফরুন্নেছা; পাইকুরাটি ইউনিয়নে বৌলাম, পাইকুরাটি, বালিজুড়ি, জিংলিগড়া, দাসপাড়া; সেলবরষ ইউনিয়নে সরিশ্যাম ও বংশীকুÐা উত্তর ইউনিয়নের মাটিয়ারবন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১৬টি বিদ্যালয়ে সব শিক্ষক মুসলিম ধর্মাবলম্বী।
অন্যদিকে ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নে নোয়াগাঁও; মধ্যনগর ইউনিয়নে ফারুকনগর ও করুয়াজানসহ ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষক হিন্দু ধর্মাবলম্বী।
বাকাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমিমুল এহসান জানান, তাঁর বিদ্যালয়ে হিন্দু, মুসলমান ও খ্রিষ্ট ধর্মের শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে খ্রিষ্টান শিক্ষার্থীদের জন্য খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী শিক্ষক থাকলেও হিন্দু ধর্মাবলম্বী কোন শিক্ষক নেই।
ফারুকনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিমন্যু রায় বলেন, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়; বরং শিক্ষক হিসেবে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা পড়াতে গিয়ে আরবি নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। এ ক্ষেত্রে আলাদা করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ বা হিন্দু ও মুসলমান শিক্ষকের সমন্বয় জরুরি।
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস বলেন, প্রতিটি বিদ্যালয়ে অন্তত একজন করে হিন্দু ও মুসলমান শিক্ষক দেওয়ার ব্যাপারে কথা বলবেন।