শেখঘাট থেকে নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার স্বামী ও ভাসুর আটক

3

 

স্টাফ রিপোর্টার

নগরীর শেখঘাট এলাকা থেকে নববধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্বামী ও ভাসুরকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
তবে পরিবারের অভিযোগ, স্বামীর নির্যাতনের মৃত্যু হয়েছে পপির। মাত্র দুই মাস আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন পপি আর মিঠন। বিয়ের দুই মাসের মাথায় স্বামীর বাসা থেকে মিলল পপির ঝুলন্ত লাশ। মারা যাওয়া পপি বেগম (২২) শাহপরাণ থানার মেজরটিলা শ্যামলী আবাসিক এলাকায় অলফু মিয়া। তিনি তার স্বামী মিঠন মিয়ার সাথে শেখঘাট এলাকার একটি বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ৮টার দিকে বসতঘরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পপিকে দেখতে পেয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান মিঠন, ভাসুর সুহেল মিয়া এবং পপির বোন জামাই। পরে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন পপির বাবা ও আত্মীয় স্বজন। পপির পরিবারে পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে নির্যাতনে পপির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পরে পপির স্বামী মিঠন মিয়া ও ভাসুর সুহেল মিয়াকে আটক করেছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। তবে ঘটনার পরে থেকেই পপির বোন জামাই নিখোঁজ রয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, মৌলভীবাজারের জগন্নাতপুর এলাকার মৃত সেলিম মিয়া ছেলে মিঠন মিয়া ও সুহেল মিয়া।
পপিরি বাবা অলফু মিয়ার অভিযোগ, আমার মেয়েকে নির্যাতন করা হত। সোমবার আমাদের বাসায় ছিল সে। বিকেলে তার স্বামীর বাসায় যায় এবং রাতে আমার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার নতুন (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, এ ঘটনার এখনো কোন মামলা দায়ের হয়নি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পপির স্বামী ও ভাসুরকে আটক করা করেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। আটক দুইজকে থানায় রাখা হয়েছে।