সিলেটে গ্রেফতার থেকে বাচতে ঘরছাড়া বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী

8

স্টাফ রিপোর্টার

গত ২৯ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াত হরতাল এবং এর তার পর থেকে অবরোধে সহিংসতা ও ভাঙচুর করায় সিলেটে মহানগরের ৬ থানায় ১৭টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলার দুটি বাদে সবকটি মামলাই করেছে পুলিশ। মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৩৮৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৬৬০ থেকে ৮১২ জনকে। এ পর্যন্ত ৫৪ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় পুলিশ। আর গ্রেফতার থেকে বাচতে ঘরছাড়া রয়েছেন বিএনপির অসংখ্য নেতা-কর্মী।
বিএনপির মাঠপর্যায়ের দুজন নেতা বলেন, মূলত গত ২৯ অক্টোবর বিএনপির সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালনের পর থেকে সিলেটের বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছে। এরই মধ্যে হরতাল ও অবরোধ চলাকালে সহিংসতার অভিযোগ এনে পুলিশ বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। প্রতিদিন রাতে পুলিশ গ্রেপ্তারে অভিযান চালানোয় অনেকে গা ঢাকা দিয়েছেন।
বিএনপির দাবি, পুলিশ মামলার অজুহাতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাসাবাড়িতে রাতে তল্লাশি চালাচ্ছে। অজ্ঞাতনামা আসামি অসংখ্য থাকায় নেতা-কর্মীদের অনেকে গ্রেফতার এড়াতে বাড়িছাড়া হয়ে পড়েছেন। প্রতিদিন রাতে পুলিশ গ্রেপ্তারে অভিযান চালানোয় অনেকে গা ঢাকা দিয়েছেন। মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি না হওয়া সত্তে¡ও গণহারে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর নামে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। পরিবারের সদস্যরাও আতঙ্কে আছেন।
মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ অক্টোবরের পর গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিলেট মহানগরীতে হরতাল-অবরোধ চলাকালে ৪টি গাড়িতে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি ৬টি গাড়ি অবরোধ-সমর্থকেরা ভাঙচুর করেছেন। সহিংসতা থামাতে গিয়ে ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। গ্রেপ্তার হওয়া ৫৪ জনের মধ্যে ২৩ জন পদবিধারী নেতা রয়েছেন। এদের মধ্যে বিএনপির নেতা ২১ এবং জামায়াতের নেতা ২ জন। দায়ের হওয়া ১৭টি মামলার মধ্যে অবরোধ চলাকালে গাড়ি ভাঙচুর করায় দুজন ব্যক্তি ২টি মামলা করেন। বাকি মামলাগুলো পুলিশ করেছে। মামলাগুলোর মধ্যে কোতোয়ালি থানায় ৫টি, জালালাবাদ থানায় ১টি, বিমানবন্দর থানায় ১টি, দক্ষিণ সুরমা থানায় ৬টি, শাহপরান থানায় ১টি এবং মোগলাবাজার থানায় ৩টি মামলা দায়ের হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মোঃ আজবাহার আলী শেখ পিপিএম জানান, পুলিশ মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারেই কেবল অভিযান চালাচ্ছে। কোনো নিরীহ বা নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হচ্ছে না। ভয়ভীতি বা আতঙ্ক তৈরি করা পুলিশের কাজ নয়। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে তৎপর রয়েছে।