মো.শাহজাহান মিয়া, জগন্নাথপুর
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে এক শ্রেণির দরিদ্র পরিবারের মানুষজন বর্শি দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এতে বেদে সম্প্রদায়ের লোকজনও আছেন। তারা নারী-পুরুষ মিলে ছোট নৌকাযোগে নদী ও খালে গিয়ে বর্শি দিয়ে মাছ ধরেন। দিন শেষে এসব মাছ হাট-বাজারে বিক্রি করে পরিবারের অন্যান্য খরচ করেন। এভাবেই দরিদ্র পরিবারের কিছু জীবন সংগ্রামী মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।
৪ নভেম্বর শনিবার পৌর শহরের নলজুর নদীতে ছোট ছোট নৌকাতে বসে প্রখর রোদে বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ বর্শি দিয়ে মাছ ধরতে দেখা যায়। ছোট চিংড়ির টোপ দিয়ে তারা টেংরা, পুটি সহ অন্যান্য ছোট মাছ ধরেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তারা এভাবেই একটি একটি করে মাছ ধরে নৌকায় থাকা পানিতে রেখে জীবিত রাখেন। দিন শেষে তাদের ধরা সব মাছ একত্রিত করে হাট-বাজারে বিক্রি করেন। এতে জনপ্রতি ৫ থেকে ৬শ টাকা রোজগার হয়। তা দিয়ে কোন রকমে চলে তাদের সংসার। শুধু নলজুর নদীই নয়, বাদাউড়া নদী সহ উপজেলার অন্যান্য নদী ও খাল-বিলে এভাবেই এক শ্রেণির দরিদ্র পরিবারের মানুষ বর্শি দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। বাদাউড়া নদীতে বর্শি দিয়ে মাছ ধরাকালে কয়েকজন নাম প্রকাশ না করে বলেন, এখন আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। সারা দিনে যা পাই, তা বিক্রি করে ৫ থেকে ৬শ টাকা আয় হয়। এ সামান্য উপার্জন দিয়ে অনেক সময় সংসার চলে না। যে কারণে অনেক সময় আমরা নারী-পুরুষ মিলে মাছ ধরি। তাদের মধ্যে অনেকে নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগে ১ থেকে ২শ টাকা রোজগার করলে সংসার চলতো। এখন ৫ থেকে ৬শ টাকায়ও চলে না। আমাদের মাছ কিনতে হয় না। যে কারণে কোন রকমে চলতে পারছি। আবার অন্যন্য নদীতে নারী-পুরুষের সাথে শিশুরাও বর্শি দিয়ে মাছ ধরতে দেখা যায়। এটি হচ্ছে, এক শ্রেণির দরিদ্র পরিবারের মানুষের মৌসুমি রোজগার। সব সময় নদীতে মাছ ধরা যায় না। শুধু হেমন্ত মৌসুমের কয়েক মাস বর্শি দিয়ে মাছ ধরতে মৌসুমি শিকারিদের মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলে। সেই সাথে দিন ও রাতের বেলায় আরেক শ্রেণির সৌখিন শিকারিরা বোয়াল (৮এরপর দেখুন ২ এর পাতায়)