হবিগঞ্জে চার পক্ষের পৃথক সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৪৫

5

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে ২০ জন ও হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় টমটম ভাড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত আরো ২৫ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার ও শনিবার দুপুরে পৃথকভাবে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আজমিরিগঞ্জ: হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের শঙ্খমহল গ্রামে জলসুখা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলু ও ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন মিয়ার লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আজমিরীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক তারিকুল হাসান হিমনকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজন হলেন মারুফ মিয়া, দুলু, সজিব, ফজল, করুনা বিবি, মুহিত, ফয়সল, রাসেল, ময়না মিয়া। তারা বানিয়াচং ও জেলা শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জলসুখা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলু ও ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিল। শনিবার সকালে জলসুখা বাজারে বিষয়টি নিয়ে ফয়েজ আহমেদ খেলু ও আলাউদ্দিন মিয়ার মধ্যে বাকবিতÐা হয়। একপর্যায়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হলে উভয়পক্ষের লোকজন বাড়িতে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের এক সদস্য আহত হন।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদ বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ করেননি।
লাখাই: হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় টমটম ভাড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ১০ জনকে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের দেয়া হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বুল্লা বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে লাখাই থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সিংহ গ্রামের টমটম ড্রাইভার আলী হোসেনের পুত্র আফিল মিয়ার সাথে ভাড়া নিয়ে কথাকাটাকাটি হয় পশ্চিম বুল্লা গ্রামের রানা মিয়া নামে এক যুবকের। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি উভয়ের স্বজনদের মধ্যে জানাজানি হলে সিংহ গ্রাম ও পশ্চিম বুল্লা গ্রামের লোকজন বুল্লা বাজরে জড়ো হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টা ব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে সনজব আলী (৩০), রমিজ মিয়া (৪০), আরজু মিয়া (৪০), রফিক মিয়া (৩৫), খোকন মিয়া (৩৫), আরজু মিয়া (২৬), আলী রহমান (৩৫), মনছুর মিয়া (২৫), কাউছার মিয়া (২৮) ও করম আলী (৪৮) কে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এছাড়াও গুরুতর আহত অবস্থায় কাউছার মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
লাখাই থানার (ওসি) মোহাম্মদ নুনু মিয়া জানান, টমটমের ভাড়া দেয়া নেয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। বর্তমানে পরিস্থিতি পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।