গ্রেফতারকৃত আপন বড় ভাইকে কারাগারে প্রেরণ

3

ছাতক সংবাদদাতা

ছাতকে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ইভা বেগমকে (৯) খুনের ঘটনায় জড়ি থাকার অভিযোগে তারই আপন বড় ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে- প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ৪ জন মিলে পরিকল্পিতভাবে মাথা বিচ্ছিন্ন করে নির্মমভাবে ইভাকে খুন করা হয়। এ খুনে জাড়িত ইভারই আপন বড় ভাই রবিউল হাসান। ইভা দক্ষিণ কুরশি গ্রামের মুশাহিদ আলীর মেয়ে।
গত ৪ অক্টোবর রাতে খুন হওয়া ইভার দেহ উদ্ধার হলেও মিলছিলো না তার মাথা। ঘটনার দুদিন পর শুক্রবার রাতে তার বিচ্ছিন্ন মাথাটি উদ্ধার কছে পুলিশ। দক্ষিণ কুরশি গ্রামের লিটন মিয়ার ধানক্ষেত থেকে ইভার মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের বড় ভাই রবিউল হাসানের তথ্যের ভিত্তিতে খÐিত মাথাটি উদ্ধার করা হয়। রবিউলকে ইভা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে করাগারে পাঠানো হয়েছে। ইভা হত্যার ঘটনায় তার বাবা গত বৃহস্পতিবার অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় মামলা করেন।
গত ৪ অক্টোবর বিকেলে ইভা বাড়ির পাশে একটি দোকানে মোবাইল ফোন রিচার্জ করতে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল। সন্ধ্যার পর বাড়ির পাশে একটি ধানক্ষেতে মাথাবিহীন বিবস্ত্র অবস্থায় ইভার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ইভার লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর উপজেলার দোলারবাজার ইউনয়নের দক্ষিণ কুরশি এলাকার খালেদ নুর নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় ইভার মা ও বড় ভাই রবিউলকে আসামি করা হয়। সেই মামলায় রবিউলকে কারাগারেও যেতে হয়। সম্প্রতি রবিউল কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন। ধারণা করা হচ্ছে, ইভা হত্যাকাÐে রবিউল ছাড়াও আরও কয়েকজন জড়িত। প্রতিক্ষকে ফাঁসাতেই রবিউলের সহযোগিতায় তারা ইভাকে খুন করতে পারে।
সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (ছাতক সার্কেল) রণজয় চন্দ্র মল্লিক জানান, এই খুনে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা করছে পুলিশ। আশা করি শিগগির খুনিরা ধরা পড়বে।