শুরু হলো পঞ্চম সিলেট চলচ্চিত্র উৎসব

27

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ এর আয়োজনে শুক্রবার শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী পঞ্চম সিলেট চলচ্চিত্র উৎসব। স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণ কে উৎসাহ দেয়ার লক্ষ্যে ২০১৭ সাল থেকে এ উৎসব আয়োজিত হচ্ছে।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে উৎসবের উদ্বোধন করেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দীন ভুঞা। এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও উৎসবের জুরি আশরাফ শিশির, চলচ্চিত্র সমালোচক ও সাংবাদিক সাদিয়া খালিদ রিতি, চলচ্চিত্র নির্মাতা তাসমিয়া আফরিন মৌ সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আতিকুজ্জামান, প্রক্টর ড. মো. মনিরুল ইসলাম, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাদ উদ্দীন আহমেদ, কৃষ্ণচ‚ড়া সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুব আলম, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি সব্যসাচী নিলয় ও সিকৃবি শাখার ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনকালে সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দীন ভুঞা বলেন, সিলেট চলচ্চিত্র উৎসব স্বাধীন ধারার তরুণ নির্মাতাদের জন্য পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করবে। এই উৎসবের মাধ্যমে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের নাম বিশ্বদরবারে পৌঁছে গেছে। চলচ্চিত্র দিয়ে শুধুমাত্র আনন্দ না, সাথে দেশের ও বিশ্বের যেকোনো বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ ও ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দিয়ে যায়। এছাড়াও এমন আন্তর্জাতিক উৎসব নতুন দিগন্তের চলচ্চিত্র নির্মানে বিপ্লব ঘটাবে। উৎসবের উদ্বোধনীর পর সকাল ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স কক্ষে ‘দ্যা মারভেলাস জার্নি- উইমেন ইন ফিল্মমেকিং’ নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র সমালোচক ও সাংবাদিক সাদিয়া খালিদ রিতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা তাসমিয়া আফরিন মৌ। এছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা আশরাফ শিশির।
৩ দিন ব্যাপী এই চলচ্চিত্র উৎসবের ১ম দিন সকাল ও বিকেলে বিভিন্ন দেশি বিদেশি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। বিকেলে বেশ দর্শক সমাগম ঘটে উৎসবে।
এছাড়া শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের আয়োজনে উৎসব প্রাঙ্গনে রয়েছে শিশুদের জন্য আলোকচিত্র প্রদর্শনী। অভিভাবকরা সকাল থেকে আলোকচিত্র দেখাতে তাদের শিশুদের নিয়ে আসছেন।
উল্লেখ্য, এবারের আসরে বিশ্বের ১১১ টি দেশ থেকে স্বল্প ও পূর্ণদৈর্ঘ্য ৩০৬৫ টি চলচ্চিত্র জমা পড়ে। যার মধ্যে থেকে বাছাইকৃত স্বল্পদৈর্ঘ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য মিলেয়ে মোট ১০৬ টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। জুরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র নির্মাতা আশরাফ শিশির, অভিনেতা মনোজ কুমার, নির্মাতা মুক্তাদির ইবনে সালাম, চলচ্চিত্র সমালোচক ও কিউরেটর প্রেমেন্দ্র মজুমদার ও ভারতীয় চলচ্চিত্র সমালোচক সিদ্ধার্থ মাইতি, চলচ্চিত্র সমালোচক ও সাংবাদিক সাদিয়া খালিদ রিতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা তাসমিয়া আফরিন মৌ। বিজ্ঞপ্তি