কাজির বাজার ডেস্ক
সরকার আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম ভোক্তা পর্যায়ে নির্ধারণ করে দিয়েছিল গত ১৪ সেপ্টেম্বর। এরই মধ্যে কেটে গেছে নয় দিন। বেঁধে দেওয়া দাম এখনো কার্যকর হয়নি। বরং কিছু ক্ষেত্রে আলু-পেঁয়াজের সংকট দেখা গেছে খুচরা বাজারে।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। শুক্রবার বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের দাম রাখা হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা। প্রতি হালি ডিম ৫০ টাকা। ওই এলাকার পাড়া-মহল্লার কোথাও কোথাও ডিম বিক্রি হতে দেখা গেছে প্রতি হালি ৫২ থেকে ৫৫ টাকায়।
এদিকে বরিশাল, সিরাজগঞ্জসহ বেশ কিছু জেলা থেকেও আলুর সরবরাহে সংকটের খবর পাওয়া গেছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর আলুর খুচরা দাম প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা ও পেঁয়াজ ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা বেঁধে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া ডিমের ডজন ১৪৪ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আলু ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হালিম চৌধুরী বলেন, পাইকারিতে ডিমের দাম সামান্য কমেছে। তাতে খুচরায় কমানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বরং মুন্সিগঞ্জ এলাকায় দুইদিন আলু বিক্রি বন্ধ থাকায় উল্টো দাম বাড়ছে।
আলী আহমেদ নামের একজন বিক্রেতা বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তর এসে জরিমানা করে খুচরা ব্যবসায়ীদের। এতে ছোট ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বাধ্য হয়ে অনেককে অভিযানের সময় কম দামে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে খুচরাই কম দামে পণ্য বিক্রির সুযোগ তৈরি হয়নি।
তিনি বলেন, অভিযানের ভয়ে পাইকারি বাজারে অনেকে আলু-পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ রেখেছে। ভারতের আমদানি করা পেঁয়াজ কম দামে বিক্রি করা যায়। সেই পেঁয়াজ এখন পাওয়াই যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে দেশি পেঁয়াজ বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সরকার আলু ও পেঁয়াজের দাম বেঁধে দিলেও পাইকারিতে আমাদের বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে। সে জন্য আমরাও সেভাবে কম রাখতে পারছি না। এসময় তিনি আলুর হিমাগার এবং পেঁয়াজের বড় আড়তে অভিযান পরিচালনা করার দাবি জানান।