ছাতক সংবাদদাতা
সুনামগঞ্জের ছাতকে মেয়েকে ধর্ষণ ও অন্তঃসত্ত¡া করার অভিযোগে পিতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পিতা কর্তৃক কিশোরী মেয়ে ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর উপজেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের সুড়িরগাঁও গ্রামে এমন লোমহর্ষক ঘটনা ঘটে। জানা যায়, সুড়িরগাঁও গ্রামের বসবাসকারী ধর্ষনের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত ওই ব্যক্তি প্রায় ১০ বছর মধ্যপ্রচ্যে ছিলেন। দেশে আশার একবছর মাথায় তার স্ত্রী মারা যান। তার ২০ বছর বয়সী বড় ছেলে কয়েক বছর যাবৎ কুমিল্লায় দিনমজুরের কাজ করে। বাড়ীতে তার ২ বছর ও ১৩ বছর বয়সী কিশোরী এক মেয়ে রয়েছে। প্রায় ৪ মাস পূর্বে এক রাতে তার কিশোরী মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পিতা। এরপর আরও দু’দিন মেয়েকে ধর্ষণ করায় এক পর্যায়ে মেয়েটি আন্তসত্বা হয়ে পড়ে। মেয়েটির শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় মেয়ের মামা ও নানি। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় সেখানকার এক নার্সকে দিয়ে হাসপাতালের বাইরে একটি কক্ষে নিয়ে তার গর্ভপাত ঘটনোর অভিযোগ রয়েছে। পরে এই অপকর্মের খবর গ্রামের চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় মাতব্বরগণ বিষয়টি ধামাচাঁপা দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। এ ঘটনায় ধর্ষিতা কিশোরীর নানি বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন। এই বিষয়ে ধর্ষনের শিকার কিশোরী মেয়েটি নিজের পিতার অপকর্মের কথা স্বীকার করে ও ঘটনা থানায় জানানোর পর পুলিশ অভিযুক্ত নরপশুকে পিতাকে গ্রেফতার করে থানা নিয়ে আসে। থানা পুলিশ ভিকটিম ও কিশোরী মেয়েকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ওসিসি) শাখায় পাঠানো হয়েছে। পরে মেয়েকে আদালতে হাজির করা হবে।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, সামাজিক অবক্ষয়ে সমাজে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে, মেয়েটিকে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত পিতার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।