কাজির বাজার ডেস্ক
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘কয়েক দিন আগে আমার মামলার ট্রায়াল শুরু হয়েছে। আমার ধারণা, আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে আমাকেও কারাগারে চলে যেতে হবে।’ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের বই ‘নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান এবং কিছু কথা’র মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে আদালতে হাজিরা দিতে যান বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আজকে কোর্টে গিয়েছিলাম। আমান উল্লাহ আমানকে ১০ তারিখে আত্মসমর্পণ করতে হবে, কারাগারে যেতে হবে।’
এ সময় বিচারব্যবস্থার সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘এমন একটা বিচারব্যবস্থা এরা (সরকার) চালু করেছে যে, বিচারব্যবস্থায় হাইকোর্ট যদি আপনাকে জামিন দেয়। সেটা নিয়ে যদি নিম্ন আদালতে যান, সেখানে নিম্নতম যিনি আছেন বিচারক, জামিন তিনি দেবেন কী দেবেন নাÑসেটা নির্ধারণ করেন। তিনি জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।’
ফখরুল বলেন, ‘তাদের (সরকার) উদ্দেশ্যটা পরিষ্কার। যারা এই সরকারের বিরোধিতা করছে, যারা এই সরকারের পক্ষে নয়, যারা এই সরকারকে বলছে যে তুমি অনেক খারাপ কাজ করেছ, সরে যাওÑতাদের সবাইকে তারা কারাগারে ঢোকাতে চায়।’
প্রতিহিংসার কারণে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জেলে পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছেÑএমন অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার গুণীজনদের সম্মান দিতে পারে না। ড. ইউনূস বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ব্যক্তি। ওনার বিরুদ্ধে এমনভাবে লেগেছে যে তাঁকে জেলে ঢুকিয়েই ছাড়বে।’ বিএনপি ড. ইউনূসের ওপর ভর করেছেÑএমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘ড. ইউনূসের ওপর আমাদের ভর করার কোনো কারণ নাই। আমরা পুরোপুরিভাবে জনগণের ওপর ভর করেছি।’ ফ্যাসিবাদকে স্বৈরাচারের বাবা আখ্যা দিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই ফ্যাসিবাদকে যদি দূর করতে হয়, তাহলে আপনাদের বুকে সাহস বেঁধে আসতে হবে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক শক্তির লড়াই করা খুব কঠিন। সেই লড়াইয়ে অবশ্যই আমাদের বুকে সাহস নিয়ে আসতে হবে। মৃত্যুর পরোয়া করলে চলবে না। জেলের পরোয়া করলে চলবে না। আজকে এভাবে শপথ নেব যে আমরা দেশকে মুক্ত করব। সবাই একবার অন্তত নেমে পড়ুন। দেখবেন যে এরা (সরকার) পালাবার পথ খুঁজে পাবে না।’