বিশ্বনাথ সংবাদদাতা
এবার সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা মন্ডলির সদস্য এসএম নুনু মিয়ার উপর সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা মন্ডলির সদস্য ও শ্রমিক নেতা মো. ময়না মিয়া। মঙ্গলবার সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে নুনু মিয়াকে একমাত্র আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন তিনি, (মামলা নং-১৭১/২৩)। মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক মনির কামাল। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট মিছবাহুর রহমান আলম।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানকে নিয়ে সম্প্রতি উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিজস্ব ইউটিউব ও ফেসবুকে জঘন্য মিথ্যা, কুরুচীপূর্ণ, আক্রমনাত্মক ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে মুহিবুর রহমানের মানহানি করিয়াছেন এবং মুহিবুর রহমানকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন। এমন বক্তব্যে পৌর এলাকার সাধারণ মানুষ ও তাহার সমর্থকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এতে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার উপক্রম হয়েছে। তিনি অপরাধ আমলে নিয়া আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যুক্রমে আদালতে সুবিচার কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া বলেন, বিশ্বনাথে আমার মাধ্যমে অভ‚তপূর্ণ উন্নয়ন দেখে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগকে সাথে নিয়ে আইনী লড়াইয়ে এ মামলার জবাব দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, এরআগে গত ২২ আগস্ট সরকারি বরাদ্দের নামে ৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নুনু মিয়া ও তার পিএস দবিরসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন জামাল আহমদ নামে এক ভুক্তভোগী। এরপর ৩০ আগস্ট পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের উপর সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক মো. নুরুল হক। বিশ্বনাথের দুই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা ও দুজনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমে নেটিজনদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। এছাড়া তাদের দ্ব›দ্ব এখন সংঘাতের দিকে এগুচ্ছে বলে আশংকা করছেন সচেতনমহল।