তাহিরপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছেন এলাকাবাসী

77

জামলাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছেন স্থানীয়রা। মাটিয়ান হাওরের বুকে দ্বীপের মতো দাঁড়িয়ে থাকা জামলাবাজ গ্রাম। এ গ্রামের নামেই গ্রামবাসী ১৯৬২ সালে জামলাবাজ রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করে। ১৯৭৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের পর নাম হয় জামলাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্ষাকালে গ্রামের কোথাও বের হতে হলে নৌকা ছাড়া বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। জামলাবাজ ও খাস হাটি মিলে হচ্ছে জামলাবাজ গ্রাম। এ দুই এলাকায় রয়েছে ৬৫টি পরিবার। এই ৬৫টি পরিবারের ১২০ জন শিশুই জামলাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী। বিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছেন চারজন। প্রতিদিন তাদের ঝুঁকি নিয়ে হাওর পার হয়ে যেতে হয় বিদ্যালয়ে। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর করতেই এমন পদক্ষেপ নেয় গ্রামবাসী। জামলাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অলি রানী রায় জানান, গ্রামের লোকসংখ্যা খুবই কম। সে তুলনায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোটামুটি ভালো। বিদ্যালয়সংলগ্ন রাস্তাটিতে বর্ষাকালে প্রায় ৪ ফুট পানি থাকে। যে কারণে শিশুরা স্কুলে যাতায়াত করতে পারে না। গ্রামবাসীর উদ্যোগে সাঁকোটি নির্মাণ হওয়ায় বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার বেড়েছে।
গ্রামের সমাজসেবক আক্তার মিয়া জানান, বিদ্যালয়সংলগ্ন রাস্তাটিতে বর্ষাকালে কোমরপানি থাকে। সে জন্য শিশুরা স্কুলে যাতায়াত করতে পারে না। এ সমস্যা দূরীকরণে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নেওয়া গ্রামবাসীর এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী ইউনূছ আলী জানান, সমস্যাটির কথা তাঁর জানা ছিল না, তাই কোনো উদ্যোগ নিতে পারেননি। আগামী মৌসুমের আগেই রাস্তাটি নির্মাণ এবং বর্ষায় যেন জলমগ্ন না হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।