কাজির বাজার ডেস্ক
ডিমের বাজারে অস্থিরতা তৈরি করে ব্যবসায়ীরা ভোক্তার পকেট থেকে অতিরিক্ত মুনাফা করছেন। সব ধরনের মানুষের উপরই পড়ছে এর প্রভাব। এ কারণে বাজার অভিযানে গিয়ে পাকা রসিদ না পেলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। সোমবার ডিমের উৎপাদক, ব্যবসায়ীদের নিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের সভা কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা তুলে ধরেন এএইচএম সফিকুজ্জামান।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, এতদিন আমাদের কাছে ডিম উৎপাদনের সঠিক খরচ ছিল না। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে আমরা সেটি জেনেছি। খুচরায় কত দাম হবে সেটিও বলা হয়েছে। সুতরাং আমরা কেউ একটা ডিমের দাম ১২ টাকার বেশি নিলে তাদের বিরুদ্ধে শুধু জরিমানা নয়, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ডিম এমন একটা পণ্য যা সারাদেশের সব শ্রেণির মানুষের উপরেই প্রভাব ফেলে। গত বছর ডিমের বাজারে অস্থিরতার সময় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল রসিদ ছাড়া ডিম ক্রয়-বিক্রয় না করতে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা সেটা মানে নাই। এবারও আমরা বাজার মনিটরিং এ যাওয়ার পর একই অবস্থা দেখতে পাই। কিন্তু আমরা রসিদ ছাড়া কেউ বেচাবিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেব। আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এদিকে সভায় উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীরা ভোক্তা অধিদপ্তরের কাছে জানান, সাড়ে দশ টাকা উৎপাদন খরচ হলে সেটি খুচরায় ১২ টাকা বিক্রিতে সমস্যা তৈরি হবে। এখানে চার-পাঁচটি হাত বদল হয়, কে কত লাভ করবে সেটি বলে দেওয়া উচিত। পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, ডিমের উৎপাদন খরচ ১০.৮০-১০.৮৫ টাকা। সুতরাং খুচরা মূল্য ১৩ টাকা হওয়া উচিত।
তেজগাঁও বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি হাজী মো. আমান উল্লাহ জানান, ডিমের দাম ১৩ টাকার কমে নামলে সেটি খামারিদের লোকসানে ফেলবে। অনুষ্ঠানে ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, কাজী, প্যারাগনের মতো বড় প্রতিষ্ঠান সাড়ে ১০ টাকায় ডিম উৎপাদন করে সর্বোচ্চ ১১.৪০ টাকায় বিক্রি করেছে। আমরা কি যৌক্তিক উপায়ে ১০ শতাংশও লাভ করতে পারবো না?