কাজির বাজার ডেস্ক
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রীষ্মকালীন ছুটি হঠাৎ বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে শিক্ষাপঞ্জিতে পরিবর্তন এসেছে। ১৪ দিনের এ ছুটিতে শিক্ষকরা কী পড়াবেন তার নতুন নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সংস্থাটির নতুন নির্দেশনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। রোববার (২৩ জুলাই) মাউশির মাধ্যমিক শাখা থেকে প্রকাশিত নতুন ছয়টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ১. নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী সব বিষয়ের জন্য নির্ধারিত সব শিখন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন করতে হবে। কোনো শিখন অভিজ্ঞতা কোনোভাবে অসম্পূর্ণ রাখা যাবে না।
২. ১০ নভেম্বরের মধ্যে সব শিখন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন করে ১১ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন শেষ করতে হবে।
৩. বিদ্যমান কর্মদিবসের মধ্যে কীভাবে ষান্মাসিক মূল্যায়নের পরের শিখন অভিজ্ঞতাগুলো সম্পন্ন করা যেতে পারে, সে সম্পর্কিত বিষয়ভিত্তিক নির্দেশনা বা গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। সব শিক্ষককে ওই গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।
৪. ২৩ জুলাই থেকে নতুন গাইডলাইনস অনুসরণ করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিখন শেখানো কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৫. গাইডলাইন অনুসরণ সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন থাকলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের মাস্টার ট্রেইনার, জেলা-উপজেলা পর্যায়ের প্রশিক্ষকদের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যেতে পারে।
৬. এ নির্দেশনা শুধু ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্যই প্রযোজ্য। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষক সহায়িকা অনুসরণ করে যথানিয়মে কার্যক্রম চলবে।
জানা গেছে, নির্বাচনের কারণে শিক্ষাবর্ষের মেয়াদ এক মাস কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি জানিয়েছেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির মূল্যায়ন ও অন্যান্য শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করা হবে। এর কারণে বাতিল হয়েছে গ্রীষ্মের ছুটিও। এ পরিস্থিতিতে বাকি থাকা কর্মদিবসে ষান্মাসিক মূল্যায়নের পরের নতুন শিক্ষাক্রমের শিখন অভিজ্ঞতাগুলো সম্পন্ন করতে শিক্ষকদের জন্য একগুচ্ছ বিষয়ভিত্তিক নির্দেশনা বা গাইডলাইন তৈরি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ওই গাইডলাইনগুলো প্রকাশ করা হয়।
অধিদপ্তর আরও বলছে, এনসিটিবি থেকে পাওয়া ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমের নতুন গাইডলাইনগুলো অনুসরণ করে সব শিক্ষককে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান চালাতে হবে।