স্টাফ রিপোর্টার
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্ব›দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থীর বাসার সামনে অস্ত্রের মহড়া দেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আফতাব হোসেন খানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার আফতাব সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেনের এজলাসে জামিন প্রার্থনা করলে তিনি আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে তিনি এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্র্বতীকালীন জামিনে ছিলেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এ টি এম মাসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অন্তর্র্বতীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষে আজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন আফতাব। বিচারক আবেদনের শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ বিষয়ে আমরা পরবর্তীতে আপিল করবো।
গত ৬ জুন সাঈদ মো. আবদুল্লাহর বাসার সামনে সাত-আটটি মোটরসাইকেলে ১৫/২০ জন সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে বন্দুক নিয়ে মহড়া দেন আফতাব। এসময় মোটরসাইকেল থেকে এক যুবক ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ মো. আবদুল্লাহর বাসার দিকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে ভীতি প্রদর্শন করেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মহড়ায় অংশ নেওয়া যুবকদের সঙ্গে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খানও ছিলেন। এ ঘটনায় নগরের এয়ারপোর্ট থানায় আফতাব হোসেন খানকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন সাঈদ মো. আবদুল্লাহ। আফতাব হোসেন ছাড়াও এ মামলায় এখন পর্যন্ত আরও দুইজন গ্রেফতার হয়েছেন। তবে সেই অস্ত্র এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে, অস্ত্র নিয়ে বিরোধী প্রার্থীর বাসার সামনে মহড়ার ঘটনায় সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আফতাব হোসেন খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। পরে ২১ জুন অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাঈদ মো. আবদুল্লাহ লাটিম প্রতীকে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
